আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে অস্ত্র নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান এসেছিলেন তা বেশিদিন ধোপে টেকেনি। বছরখানেকের ভেতরেই তার কাটারের মারপ্যাঁচ বুঝে ফেলেন ব্যাটসম্যানরা। ফলে মুস্তাফিজ হারান নিজের ধার। পারফরম্যান্সে সেই প্রভাব পড়ে প্রবল।
অভিযোগ উঠছিল, ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল ভেতরে ঢুকাতে পারেন না মুস্তাফিজ! সাবেক বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ মুস্তাফিজকে নিয়ে কাজ করলেও সুফল পায়নি। এ নিয়ে আরেক কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টকে নিয়েও কাজ করেছেন বাঁহাতি পেসার। তবে আয়ত্ব করতে পারছিলেন না কিছুতেই। বল একটা-দুইটা ভিতরে ঢুকলেও মুস্তাফিজ পাচ্ছিলেন না আত্মবিশ্বাস। তাতে পারফরম্যান্সও হয়েছে এলোমেলো।
অবশেষে মুস্তাফিজ দিলেন সুখবর। জানালেন, বল ভেতরে ঢোকানোতে পারদর্শী হয়ে উঠছেন। বোলিং কোচ ওটিস গিবসন নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। তাতে মিলেছে ভালো খবর। সোমবার মিরপুর শের-ই- জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুস্তাফিজ বলেন, ‘করোনার আগে গিবসন আমাকে কিছু গ্রিপ দেখিয়ে দিয়েছিল যে কী করলে বল ভেতরে ঢুকবে। ওটা নিয়ে কাজ করছিলাম। এখনো ভালো যাচ্ছে। আরও কাজ করতে হবে, ভালোভাবে কাজ করতে পারলে ভেতরে ঢোকানোটা তাড়াতাড়ি আয়ত্ব করতে পারবো।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ। লঙ্কা সফরে পেসারদেরও থাকতে পারে বড় ভূমিকা। লাল বলের চুক্তিতে না থাকলেও মুস্তাফিজকে ফের টেস্টে ফেরানোর ভাবনা টিম ম্যানেজমেন্টের। মুস্তাফিজেরও ইচ্ছে তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা।
‘আমিতো চাই সব ফরম্যাটে খেলতে। এখন চেষ্টা করছি ফিটনেস বলেন, বোলিং স্কিল বলেন কোন কাজগুলো করলে আমি সব ফরম্যাটে নিয়মই হতে পারি সেগুলো করার।’ – বলেন মুস্তাফিজ।
দীর্ঘ লকডাউনে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি বল নিয়েও কাজ করেছেন মুস্তাফিজ। ঢাকায় ফেরার পর হাল্কাভাবে অনুশীলন শুরু করলেও এখন পুরোদমে নিজেকে তৈরি করছেন। লাল বলের একাদশে ঢোকা ফেরাই তার একমাত্র লক্ষ্য।
‘বাড়িতে অনুশীলন করলেও একক অনুশীলনের থেকে দলীয় অনুশীলন করাটা গুরুত্বপূর্ণ । ঢাকায় ফেরার পর এখানে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করতে কষ্ট হচ্ছিল। এখন খুব ভালো যাচ্ছে। প্রথমে শর্ট রান আপে, দুই তিন স্টেপে বোলিং করেছি। রানিং, জিম এসবও ছিল। এখন ওভার অল সবকিছু ভালোই যাচ্ছে।’ – যোগ করেন মুস্তাফিজ।