বুধবার সন্ধ্যা ৭:২৩

২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ গ্রীষ্মকাল

লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গের ইতিহাস এবং অভেদ্য রহস্য!

ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ রাজধানী ঢাকা। কালের বিবর্তনের ধারায় মোঘল, জমিদার বা বিখ্যাত ব্যক্তি দ্বারা নির্মিত আহসান মঞ্জিল, হোসেনী দালান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা, কার্জন হল, ঢাকেশ্বরী মন্দির, লালবাগ কেল্লার মতো দর্শনীয় স্থানগুলোর জন্য আজও বিখ্যাত এই ঢাকা।

কোনটি কারুকার্জ, কোনটি বা স্থাপনা আবার কোনটি রহস্যের জন্য আজও বিখ্যাত। এদের মধ্যে লালবাগ কেল্লা উল্লেখযোগ্য। মূলত দৃষ্টিনন্দিত স্থাপনা, পরী বিবির মাজার এবং রহস্যময় সুড়ঙ্গের জন্য এই কেল্লাটি আজও সগৌরবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তবে লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গের রহস্যময় ইতিহাসের জন্য বহুল আলোচিত হয়ে থাকলেও আদৌ কেউ তার রহস্য ভেদ করতে পারেনি।

মোঘল আমলে তৈরি এই লালবাগ কেল্লা। এটিকে নিয়ে লোকমুখে অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে তারমধ্যে বহুল প্রচলিত এবং আলোচিত হচ্ছে লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ। জমিদাররা কোন বিপদ দেখলেেই এই সুড়ঙ্গটি দিয়ে দিল্লি পালিয়ে যেতেন।

এই সুড়ঙ্গের রহস্য হল যে একবার এই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করে সে আর ফিরে আসে না বা তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এর কথার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বিদেশি বিজ্ঞানীরা একবার দুটি কুকুর পাঠান কিন্তু কুকুর দুটি আর ফিরে আসেনা। পরবর্তীতে আবার দুটি কুকুরকে কারো কারো মতে দুটি ঘোড়ার গলায় লোহার শিকল বেঁধে পাঠালে শুধু লোহার শিকল ফিরে আসলেও কুকুর বা ঘোড়ার কোন চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায় নি। অনেকের মতে এর মধ্যে এমন এক প্রকার গ্যাস রয়েছে যার প্রভাবে যে কোন প্রাণীর হাড়, মাংস গলে যায় আবারো কারো ধারণা এর মধ্যে এমন এক প্রকার শক্তি রয়েছে যার কাছে প্রবেশ করলে কোন প্রাণীর পক্ষেই আর ফিরে আসা সম্ভব নয়।

তবে এই সুড়ঙ্গের ভেতর এতই অন্ধকার যে যার মধ্যে কোন টর্চ বা আলো কোন কিছুই কাজে আসে না। বর্তমানে সুড়ঙ্গটি সরকারের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। লালবাগ কেল্লার এই রহস্যময় সুড়ঙ্গটির রহস্য আদৌ ভেদ করা সম্ভব হয়নি। জানিনা কোন দিন এর রহস্য ভেদ করা সম্ভব হবে কি না ।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে