শুক্রবার রাত ১২:০৭

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বসন্তকাল

বিশ্বে এই প্রথম রেমডেসিভির বিক্রি শুরু করছে বেক্সিমকো

করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় প্রতিষেধক হিসেবে উৎপাদিত জেনেরিক রেমডেসিভির বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ‘বেমসিভির’ নামে ওষুধটি বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে তারা।

বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবরটি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো উৎপাদিত ওষুধের শুভ উদ্বোধন এবং হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বেক্সিমকো উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের সুস্থ করে তুলবে বলে আমরা আশাবাদী।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও কোনো দেশে করোনা রোগীদের শতভাগ সুস্থ করে তোলার মতো ভ্যাকসিন বা ওষুধ উৎপাদন হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে রেমডেসিভির ওষুধটি কার্যকর হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য এটির অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে করোনাভাইরাস রোগীদের এই ওষুধে চিকিৎসা প্রদান করা হবে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই জেনেরিক (মূল/গোত্র) রেমডেসিভিরের প্রতি ডোজ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ছয় হাজার টাকা করে বিক্রি করা হবে। তবে সরকারি করোনা হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে দেয়া হবে। গুরুতর অসুস্থ একজন রোগীর ক্ষেত্রে এই রেমডেসিভিরের ছয় ডোজ লাগতে পারে।

বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যান্য দেশও যোগাযোগ করছে। প্রচলিত সরবরাহ পদ্ধতিতে এই ওষুধ আমরা দেবো না। যদি কোনো দেশের সরকার আমাদের কাছে এটি চায়, তবে আমরা এটি রফতানি করবো।

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই রেমডেসিভিরই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়ে চলেছে জানিয়ে গিলিয়েড সায়েন্সেস বলছে, এই ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।

রেমডেসিভির উৎপাদনের একচেটিয়া স্বত্ব রয়েছে গিলিয়েডের। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন অনুযায়ী, জাতিসংঘ স্বীকৃত বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো এসব পেটেন্ট বা স্বত্ব অগ্রাহ্য করতে পারে। ফলে এসব দেশ সহনীয় মূল্যে ওষুধ উৎপাদন করতে পারে।

বাংলাদেশের বাইরে গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির এই ওষুধ তৈরির লাইসেন্স পেয়েছে ভারতের সিপ্লা লিমিটেড ও মাইল্যান এনভি এবং পাকিস্তানের ফিরোজসন্স ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। এই কোম্পানিগুলো ওষুধটি উৎপাদন করে ১২৭টি দেশে বিক্রি করতে পারবে।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে