শুক্রবার বিকাল ৪:০০

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ গ্রীষ্মকাল

প্রণোদনা চান পেট্রোল পাম্প মালিকরা

করোনাভাইরাসের কারণে দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ ছুটি চার দফায় বেড়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার। আর এ সময়ে বন্ধ রাখা হয়েছে (জরুরি ছাড়া) সব ধরনের যানবাহন।

তবে জরুরি সেবার মধ্যে থাকায় খোলা রয়েছে ফিলিং স্টেশন-পেট্রোল পাম্প।  এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণ সময়ের তুলনায় তাদের বিক্রি ৯৫ শতাংশ কমে গেছে। এ সময়ে পাম্পগুলোতে স্টাফ ভরণ-পোষণ করাসহ বিভিন্নভাবে ব্যয় বাড়ছে। এক্ষেত্রে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অন্যান্য জরুরি সেবার মতো এ খাতে প্রণোদনা দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ফিলিং স্টেশন ও পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধের পর পাম্পগুলোতে ৯৫ শতাংশেরও বেশি বিক্রি কমে গেছে। তবে যেসব পাম্পে জরুরি সেবার আওতায় থাকা গাড়িগুলো যাচ্ছে না সেগুলোতে বিক্রি নেই বললেই চলে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জরুরি সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় স্টাফদের নিয়মিত থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। ফলে কোনো আয় না থাকলেও ব্যয় ঠিকই হচ্ছে।

এছাড়া নিয়মিত স্টাফদের বেতন ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তবে জরুরি সেবা হিসেবে প্রণোদনা হিসেবে সরকার ফিলিং স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পে কর্মরতদের বেতন দিলে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলেও মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর রাইজিংবিডিকে বলেন, এখন আমাদের কোনো ব্যবসা নেই। কিন্তু জরুরি সেবা হিসেবে সব খোলা রাখতে হচ্ছে। কর্মীদের থাকা-খাওয়া মালিকদের বহন করতে হচ্ছে।  নিজের স্টাফদের জন্য সবাই এটা করছে।  তবে কারো বিক্রি নেই।  ৯৫ শতাংশ ব্যবসা কমে গেছে।  ৫ শতাংশ হয়তো আছে।  আবার ৫ শতাংশও বলা যাবে না। কারণ যেসব স্টেশনে অ্যাম্বুলেন্সসহ গাড়ি ঢুকে না সেসব জায়গায় ব্যবসা একেবারেই নেই।

প্রণোদনার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক মালিক সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা চাইছে।  কিন্তু আলটিমেটলি দেখেন প্রণোদনার যেই অ‌্যামাউন্ট ঘোষণা করা হয়েছে সেটা নিয়েতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে। কার থেকে কে বেশি নিতে চায় সে অবস্থা শুরু হয়েছে।  প্রণোদনা চাওয়া বেকার খাটনি ছাড়া আর কিছুই না। সরকার যদি জরুরি সেবা হিসেবে এই সময়ে অন্তত স্টাফদের বেতন দেয় তাহলেও হয়।  কারণ আমাদেরতো আয় নেই। বরং আমাদের স্টাফদের পেছনে খরচ হচ্ছে।

পেট্রোল পাম্পের বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে যা বিক্রি হচ্ছে তা অন্যান্য সময়ে তুলনায় ৫ শতাংশও না।  গ্যাস এবং পেট্রোল দুই সেক্টরেই বিক্রি একেবারে কমে গেছে।  এছাড়া ট্যাংক লরি পরিবহন সেক্টরও ক্ষতির মুখে। ওই সেক্টরের শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে