ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করবে স্যামসাং গ্রুপের স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন এবং ট্রেডিং (সিঅ্যান্ডটি) করপোরেশন।
বিমান বন্দরের প্রধান টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে তিন নম্বর টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে, যার আনুমানিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় ২১ হাজার ৪০০ কোটি। টার্মিনালটি নির্মাণে ৫ হাজার কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং নির্মাণ ব্যয়ের বাকি অংশ আসবে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা’র (জাইকা) তহবিল থেকে। নতুন এই টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টার্মিনালটি নির্মাণে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন ৫ হাজার কোটি টাকা (১.৬ বিলিয়ন ডলার) টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। অত্যাধুনিক এই টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বছরে প্রায় ২ কোটি যাত্রী এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
অত্যাধুনিক নির্মাণ কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন আকর্ষণীয় নির্মাণ সাফল্যের বিস্তৃত পোর্টফোলিও তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে, প্রতিষ্ঠানটি প্রকৌশল ও নির্মাণসংস্থা হিসেবে বিভিন্ন খাতে নিজেদের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত করেছে।
বুর্জ খলিফা, পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, তাইপে ১০১, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনাল, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আবুধাবির ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকসহ আরো অনেক কিছুর সফল নির্মাণ করেছে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি’র ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন প্রজেক্ট।
উল্লেখ্য, স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস গত এক দশক ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠানটি নরসিংদীতে অবস্থিত হাই-টেক কারখানায় স্মার্টফোন সংযোজন করছে। এছাড়াও, ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রও রয়েছে।