শুক্রবার দুপুর ১২:০৪

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বসন্তকাল

চার লেনের সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক একনেকে অনুমোদন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে তিন হাজার ৫৮৬ কোটি চার লাখ টাকা।

একইসঙ্গে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারত, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার ও চীনের ক্রস বর্ডার সংযোগসহ উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপনও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন। তিনি জানান, একনেক সভায় ছয় হাজার ৬২৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে দুই হাজার ৭১ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে চার হাজার ৫৯৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অনুমোদিত ছয় প্রকল্পের মধ্যে দুটি নতুন প্রকল্প এবং চারটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করবে। প্রাক্কলিত ব্যয়ের দুই হাজার ৯৭০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) কাছ থেকে পাওয়া যাবে।

আজ মঙ্গলবার ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রকল্পের আওতায় সিলেট হতে তামাবিল পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ এবং ঢাকা-সিলেট-তামাবিল করিডোরের মাধ্যমে উপ-আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপন করা হবে।

এম এ মান্নান আরো বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তামাবিল স্থলবন্দর, সিলেটের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে যাতায়াত সহজ হবে এবং পর্যটন বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।’ সারা দেশে আন্তজেলা সড়কের উন্নয়ন ও সব মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে গাছ লাগানোর বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তিনি হাওর এলাকায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মংৎস্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে এম এ মান্নান বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি বা বন্যার মতো দুর্যোগসহ নানা কারণে প্রকল্প সংশোধন করতে হয়। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্প সংশোধনী আনার প্রবণতা হ্রাস করার চেষ্টা করছি।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো- মতলব-মেঘনা-ধনাগোদা-বেড়িবাঁধ সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প, যার বাস্তবয়ন খরচ ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সারা দেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২২ কোটি ৫২ লাখ। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের অতিরিক্ত খরচ হবে এক হাজার ৬৪৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

এ ছাড়া, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, যার প্রাক্কলিত বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় পর্যায়) (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে