শুক্রবার সকাল ১১:৩০

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বসন্তকাল

কোয়েল পাখির খামার দিয়ে বেকারদের মধ্যে সারা জাগিয়েছেন রিফাত খান

নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস, ইচ্ছা, ধৈর্য্য আর চেষ্টা থাকলে অনেক ভাবেই উপার্জন করা যায়। এমন এক দৃষ্টান্ত মূলক কাজ করেছেন রিফাত খান। কোয়েল পাখির খামার দিয়ে ডিম ও পাখি বিক্রি করে তিনি এলাকায় বেকারদের মধ্যে সারা জাগিয়েছেন এবং নিজেও হয়েছেন স্বাবলম্বী। নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার মাসিমপুর ইউনিয়ন এর দত্তেরগাও গ্রামের শিক্ষানবিশ আইনজীবী রিফাত খান সখের বসে কোয়েল পাখি পালন শুরু করেন। এতে ব্যাপক সফলতা পান তিনি।কোয়েল পাখি দিয়েই চলছে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম। তিনি বলেন এভাবে ব্যস্ততার মধ্যেই খুজেঁ পান এক ধরনের বিনোদন। বাড়ির আঙ্গিনায় পা রাখতেই দেখা গেলো তার হাতে গড়া কোয়েল পাখির খামার। বাড়ির পাশে নিজেদের জমিতে ঘড় করে তার চারপাশে নেট দিয়ে তৈরি করেছেন কোয়েল পাখির খামার। প্রথম অবস্থায় রিফাত খান কোয়েল পাখির ৪৫০০ বাচ্চা নিয়ে শুরু করেছেন। প্রতি কোয়েল পাখির বাচ্চা ৮ টাকা দরে কিনেছেন। দুই হাজার পুরুষ কোয়েল প্রতিটি ২০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। এরপর কোয়েল এর পাশাপাশি ডিম বিক্রি ও শুরু করেন। একটি স্ত্রী কোয়েল ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ডিম পাড়া শুরু করে। এরা ১৮ মাস পযর্ন্ত ডিম দেয়। প্রতিটি ডিমের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম।

রিফাত খান বলেন, এখন আমি প্রতিদিন গড়ে ২০০০ ডিম পাই। প্রতি ডিম ১.৯০ পয়সা করে বিক্রি করি। মাস শেষে সব কিছুর খরচ দিয়ে ২০০০ পাখি থেকে ২২০০০ টাকা আয় হচ্ছে। শীতের সময় ডিমের চাহিদা বেশি থাকে। এছাড়া কোয়েল পাখির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় দিন দিন এই পাখির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ডিম ও মাংসের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাছাড়া মুরগির ডিম বা মাংসের চেয়ে কোয়েল পাখির ডিম মাংস খেতেও তেমন পার্থক্য নেই। মুরগির ভ্যাকসিন দিয়েই কোয়েল পাখির চিকিৎসা হয়। রিফাত খান কোয়েল পাখির খামার দিয়ে এলাকায় অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।রিফাত খান আরো কোয়েল পাখির খামার বাড়াবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নরসিংদী/মনো/হ্যাপি







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে