শুক্রবার রাত ১১:৩৭

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ গ্রীষ্মকাল

এক দিনে করোনা শনাক্ত ৩৫, আক্রান্ত বেড়ে ১২৩ জন

পরীক্ষার আওতা বাড়ার পর দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে; একদিনে নতুন ৩৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২৩ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তাতে দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখা বেড়ে হয়েছে ১২ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর আগে এক অনুষ্ঠানে নতুন করে চারজনের মৃত্যুর তথ্য দিলেও পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সেই তথ্য সংশোধন করে দেন।

নতুন রোগীর এই সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ। এক মাস আগে দেশে প্রথমবারের মত কারো দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এক দিনে মৃত্যু ও আক্রান্তের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে মোট ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ নিয়ে সবশেষ তথ্য উপস্থাপন করেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। আক্রান্তদের ৩০ জন পুরুষ, ৫ জন নারী।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বয়স শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি ১১ জন আছেন। এছাড়া ছয়জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে।

যে তিনজন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন পরিচালকও আছেন। সোমবার সকালে ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এক সপ্তাহ আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় জানিয়ে ডা, ফ্লোরা বলেন, “যেহেতু এক সপ্তাহ আগেই তাকে শনাক্ত করেছিলাম, এ কারণে তার কন্টাক্টে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছি।

“বাকি দুজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালের আসার পরপর। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তাদের দুজনের বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সংক্রমণের উৎস খোঁজা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত যতজনকে পাওয়া গেছে, তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।”

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, “পুরো নারায়ণগঞ্জকেই আমরা একটা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছি। ইতোমধ্যে আমরা ওইসব এলাকায় কোয়ারেন্টিন কার্যক্রম আরও জোরদার করেছি। সেখানে প্রশাসন আমাদের সঙ্গে আছে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আজাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৫১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন এবং ২৯৯ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন এবং ৩০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজার ৪৮০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কোয়ারেন্টিনে আছেন ১১ হাজার ৩৩০ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৪৪৩ জনকে আইসোলেশন করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩৩৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন আইসোলেশনে আছেন ১০৭ জন।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে