আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে চীন। মূল ভূখন্ডের এই আইনটির প্রয়োগ হংকংয়ের স্বাধীনতার ওপর বড় আঘাত বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
হংকংয়ের আইনপ্রণেতাদের পাশ কাটিয়ে ‘দেশদ্রোহিতা, বিচ্ছিন্নতা, গণবিক্ষোভ ও ধ্বংসাত্মক’ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে আইনটিতে।
সমালোচকদের ভাষ্য, হংকংকে সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল চীন তা ভঙ্গ করতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে চীনের এই পদক্ষেপ হংকংয়ের জনঅসন্তোষকে আরও তীব্র করবে এবং নতুন করে গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে উস্কে দেবে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেওয়া এই সিদ্ধান্ত ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে উত্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অবশ্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্তেই চূড়ান্ত। পিপলস কংগ্রেসে ওঠানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর চীন বিচ্ছিন্নতা ও বিদ্রোহের আশঙ্কায় সবসময় কঠোর আইন প্রণয়ন করতে চেয়েছিল। গত বছর গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠলে বেইজিং এই ধরনের বিক্ষোভ ভবিষ্যতে ঠেকাতে ‘আইনভিত্তিক ও জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ’ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
শুক্রবার হংকংয়ের বেইজিং সমর্থিত সরকার জানিয়েছে, আইন বাস্তবায়নে তারা চীনকে সহযোগিতা করবে। নতুন এই আইনে নগরীর স্বাধীনতার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ হবে না বলেও দাবি করা হয়।