চীনের নতুন নিরাপত্তা আইন আরোপের পর থেকে হংকংয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও সরব ভূমিকা পালন করছে। বুধবার কংগ্রেসকে মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বললেন, হংকংকে তারা আর চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল মনে করছেন না।
পম্পেওর এই ঘোষণায় দুই অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলবে মনে করছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। বুধবার আইনসভায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘কোনো দায়িত্বশালী ব্যক্তি আজ বলতে পারে না যে হংকং চীন থেকে উচ্চমাত্রায় স্বায়ত্তশাসন পাচ্ছে।’
নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে হংকংয়ে যে বিক্ষোভ ফুঁসে উঠেছে তাতে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে। পম্পেও মনে করেন, নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মতো একের পর এক বিতর্কিত কার্যকলাপের মাধ্যমে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিক্ষোভ থামাতে হংকংয়ে হাজার হাজার দাঙ্গা পুলিশ নামানো হয়েছে। চীনের জাতীয় সঙ্গীত বিল ও নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৩০০ মানুষকে। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে বেআইনি সমাবেশে যোগ দেওয়ার অপরাধে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্প্রতি চীনের জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করলে ফৌজদারি শাস্তির বিধান রেখে একটি আইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং। এছাড়া দেশদ্রোহিতা, হংকংকে পৃথক করা ও গণবিক্ষোভের চেষ্টা করলে শাস্তির বিধান রেখে আরেকটি বিল তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে নিরাপত্তা বিলটি পাস করার কথা। আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের দাবি, এর মাধ্যমে বেইজিং তাদের মৌলিক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।