সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে ২০১৯ সালে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় এবার প্রায় ১৫১ কোটি টাকা কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড–২০১৯’ শীর্ষক প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৬২ কোটি ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা।
সাধারণত সুইস ব্যাংক অর্থের উৎস গোপন রাখে। বাংলাদেশ থেকে নানাভাবে অবৈধ উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হয়। এছাড়া, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও এ সব ব্যাংকে অর্থ জমা রাখেন।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত এক সেমিনারে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘বছরে দেশ থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে।’
গত ৩ মার্চ ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে জানায়, আমদানির সময় পণ্যমূল্য বাড়িয়ে এবং রপ্তানির সময় কম দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে কেবল ২০১৫ সালে পাচার হয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯৮ হাজার কোটি টাকা।