রবিবার বিকাল ৪:১৭

৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শরৎকাল

সিদ্ধান্ত আসেনি সৌদি থেকে, কী হবে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের?

চলতি বছর দেশে হজ নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল। এই সময়ে মধ্য করোনাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল কারণে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ হজযাত্রী নিবন্ধন করেননি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে, এবার আদৌ হজ পালিত হবে কি না, সে বিষয়ে সৌদি সরকার নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য জানায়নি। ফলে বাংলাদেশও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এখন সব কিছুই নির্ভর করছে সৌদি সরকারের ওপর। তাদের সিদ্ধান্ত জানা গেলেই হজের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত হজের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে মার্চ মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে জানায় সৌদি সরকার। একইসঙ্গে সৌদি আরবে কোনো হোটেলের সঙ্গে চুক্তি না করতেও বিদেশিদের পরামর্শ দেয় দেশটির সরকার। এ কারণে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও সৌদি অংশের হোটেল ভাড়া করা যায়নি।

এরপরও, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিমান ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ এক লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে হজযাত্রীদের নিবন্ধন চলমান রেখেছে। 

জানা গেছে, চলতি বছরে সরকারি ব্যবস্থাপনার ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল।  কিন্তু  কোটা পূরণ না হওয়ায় ৪ বার মেয়াদ বাড়িয়ে গত ৩০ এপ্রিল তারিখ নিবন্ধনের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ে মাত্র ৬৪ হাজার ৫৯৪জন চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৩ হাজার ৪৫৭ জন; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৬১ হাজার ৫৯৪ হজযাত্রী।

সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে হজ পালনের বিষয়টি মাথায় রেখে নিবন্ধন চূড়ান্ত করে সরকার। কোটা খালি থাকলেও আর নতুন করে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে না। বরং হজ সীমিত আকারে পালিত হলে এবার যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা সবাই যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাবে)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সৌদি সরকার যখনই বলবে, আমরা তখনই যেতে পারবো।’

নিবন্ধনের সময় আর বাড়বে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তসলিম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সৌদি সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর আমাদের হজযাত্রা নির্ভর করবে।’

হজ প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব অ্যডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের যে কার্যক্রম, তা  কমপ্লিট করে রেখেছি। সৌদি সরকার তখনই বলবে, তখনই আমরা সৌদি অংশের বাকি কাজ করে ফেলতে  পারবো। আসলে আদৌ হজ হবে কি না, তা সৌদির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।’

হজের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি সরকার হজের ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি। তবে, আমরা প্রস্তুত।’ সৌদি সরকার সিদ্ধান্ত জানালেই বাংলাদেশে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে বলেও তিনি জানান।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে