আর একদিন পরেই ঈদ। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে করোনার ভয় নিয়েই ঢাকা ছাড়ছে রাজধানীবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। এই অবস্থায় যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি কম মানছেন। এ ছাড়া দেখা গেছে, লঞ্চগুলোও সুযোগ বুঝে বাড়তি যাত্রীবোঝাই করে সময়ের আগেই ছেড়ে যাচ্ছে। তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে মাস্ক ছাড়া কাউকে টার্মিনালে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
সদরঘাটের বরিশালের যাত্রী মেরিনা বেগম বলেন, ‘আজকে শেষ অফিস থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশাল যাচ্ছি। তবে করোনার ভয় কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘লঞ্চে অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। একজনের গায়ের উপর আরেকজন গিয়ে পড়ছেন। এভাবে তো করোনার ঝুঁকি বেশি লাগছে।’
নাদিম হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, গত রোজার ঈদে বাড়িতে যেতে পারিনি। তাই এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই যাত্রী তুলছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, এ বছর ঈদ উদযাপনে সদরঘাট হয়ে ঘরে ফিরবেন প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ। এজন্য ৪৩টি রুটে যাত্রী পরিবহন করছে প্রায় ২০০টি লঞ্চ। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে সময়ের আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি লঞ্চ। ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে ২৫টি লঞ্চ। অপেক্ষায় আছে আরো ৪০টি।
অগ্রদূত লঞ্চের যাত্রী ফাহাদ রায়হান বলেন, ‘ঢাকা-ভাণ্ডারিয়া রুটে ডাবল কেবিন ভাড়া দুই হাজার টাকা। আমি সাড়ে তিন হাজার টাকায় কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করেছি। ডেকের ভাড়া ২৫০ টাকার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা। ’
এমভি সপ্তবর্ণা-১০ লঞ্চের চালক নান্নু বলেন, ‘গত এক মাস তেলের খরচও তুলতে পারিনি। আজ থেকে কিছুটা চাপ বেড়েছে। অন্যান্য সময়ে ঈদে প্রতি ট্রিপে তৃতীয় শ্রেণিতে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার যাত্রী বহন করা হতো। সেখানে এখন প্রতি ট্রিপে সামাজিক দূরত্ব মেনে ৭০০ যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। কারো কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।’