নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধুর পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য তার নামে খাস জমি বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীকে দেখতে গিয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসককে জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান।
এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনাটিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ ১০ আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। বাকিরা শিগগিরই ধরা পড়বে বলে তিনি জানান।
এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ড. মাহে আলমসহ প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সংসদ নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ১৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান ওই গৃহবধু। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় ওই গৃহবধুর সঙ্গে কেন্দ্রে থাকা সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন ও তার কর্মীদের তর্ক হয়। তারা ওই নারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ওই রাতেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন চার সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ।
এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় করা মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে: জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রোববার সাত আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই দিন অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো- সালাউদ্দিন, মুরাদ ও আবুল ওরফে আবুইল্যা। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশকে তারা জানিয়েছে, রুহুল আমিন মেম্বার ও বুলুর নির্দেশে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।