বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু শূণ্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরাতে নতুন পাঁয়তারা শুরু করেছে মিয়ানমার। সীমান্তে দেশটির অভ্যন্তরে ঘন ঘন গুলিবর্ষণ, রাতে কাঁটাতার ঘেঁষে অতিরিক্ত সৈন্যসমাবেশসহ এখন নতুন করে খালে ব্রিজ তৈরি করছে। এতে বর্ষা মৌসুমে শূণ্যরেখা ও স্থানীয় কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে বলে দাবি রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের। তবে বিয়ষটি নজরে এসেছে এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
মিয়ানমারের সব দৃষ্টি যেন বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায়। যেখানে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা।
এসব রোহিঙ্গাদের সরাতে বারবার নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এজন্য সীমান্তে দেশটির অভ্যন্তরে ঘন ঘন গুলিবর্ষণ, অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি, রাতে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে। তারপরও নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া ছাড়া শূন্যরেখা ছাড়তে রাজি নন রোহিঙ্গারা।
এবার শূন্যরেখা থেকে রোহিঙ্গাদের সরাতে নতুন পাঁয়তারা শুরু করেছে মিয়ানমার। যে কারণে তমব্রু খালে নতুন করে তৈরি করছে ব্রিজ। এটি হলে খালে পানির স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন ঘটবে এবং বর্ষা মৌসুমে শূণ্যরেখা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরের কোনারপাড়াসহ কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে বলে দাবি স্থানীয়দের।
তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানালেন খালে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।
তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাকে চিকিৎসাসহ মানবিক সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রস।
সুত্রঃ সময় নিউজ