টানা দুই মেয়াদে মোট চার বছর আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব পালন করেছেন শশাঙ্ক মনোহর। সময়ের হিসাবে গতকালই (মঙ্গলবার) ছিল এই ভারতীয়র দায়িত্বের শেষ দিন। মেয়াদ শেষে আজ চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। এই ভারতীয় আইনজীবিকে আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু শাহনে সংস্থাটি এবং ক্রিকেট পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের আগে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন সংস্থাটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজা। বুধবারের বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইসিসি।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা নিজেদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর দুইবারের দুই বছরের মেয়াদ শেষে পদত্যাগ করেছেন। আইসিসির বোর্ড আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যতদিন তার স্থলাভিষিক্ত নির্বাচিত না হবেন, ততদিন ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।’
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবে আইসিসি। এক্ষেত্রে শশাঙ্কের আসন দখল করতে পারেন আরেক ভারতীয় সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি বর্তমানে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদের দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট কলিন গ্রেভসের নামও শোনা যাচ্ছে।
এমনকি বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া সিঙ্গাপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইমরান খাজাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। যদি তাই হয় আর তিনি নির্বাচিত হোন, তবে পূর্ণ সদস্য দেশের বাইরে প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে এই দায়িত্ব পাবেন তিনি। এদিকে পূর্বে আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা পাকিস্তানি এহসান মানির নামও গুঞ্জণে ভাসছে।
আইসিসি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়া শশাঙ্ক মনোহর ২০১৬ সালের মে মাসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুই বছরের জন্য দায়িত্ব নিলেও প্রথমবার ১০ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। পরে বোর্ডের অনুরোধে সাময়িকভাবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে রাজি হন। তবে শেষ পর্যন্ত পুরো মেয়াদেই দায়িত্বে থাকেন।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন মনোহর। তবে এবারের মেয়াদ শেষে আর দায়িত্বে থাকবেন না, আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।