শুক্রবার দুপুর ২:৫৭

২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শীতকাল

লাদাখ সীমান্তে এখনো ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চীন!

প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) সব এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি চীন, এমনটাই দাবি করেছে ভারত।

ভারতের আরো দাবি , মুখে এক আর মনে আরেক নীতি মেনে চলছে বেইজিং। বারবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি স্থাপন ও সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও এখনো পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ৪০ হাজারের মতো চীনা সেনা সদস্য রয়েছে।

একটি গোপন প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দেপসাং মালভূমি, গোগরা ও ফিঙ্গারস অঞ্চলে এখনো চীনা সেনাদের উপস্থিতি রয়েছে। তবে গালওয়ান, হটস্প্রিং ও ফিঙ্গারস অঞ্চলের কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বারবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এলএসিতে শান্তি ও সৈন্য সরানোর কথা বললেও সূত্রের খবর, এখনো পূর্ব লাদাখে সীমান্ত এলাকায় ৪০ হাজার চীনা সৈন্য রয়েছে। একটি গোপন প্রতিবেদনে ফাঁস হয়েছে সে তথ্য। অথচ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বারবার লাদাখের ওই অঞ্চল থেকে সেনা সরানোর কথা বলেছিল চীন। বাস্তবে তেমনটা করছে না চীন। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

সূত্রের খবর, গোগরা ও হটস্প্রিং এলাকায় এখনো ভারতীয় সীমানায় ঢুকে রয়েছে চীনা সৈন্যরা। এমনকী যে প্যাংগং লেক নিয়ে এত বিতর্ক, সে হ্রদের ফিঙ্গার ফাইভ এলাকা থেকে এখনো সরছে না চীনা সেনা। ফিঙ্গার ফোর থেকে ফিঙ্গার এইট পর্যন্ত এখনো যেতে পারছে না ভারতীয় সেনারা।

অবশ্য চীনের এ পদক্ষেপ খুব আশ্চর্যের নয় বলেই মনে করছেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা। তাই চীনকে পাল্টা জবাব দিতে রণনীতি সাজাচ্ছে ভারতও। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে ভারতীয় সেনারা। জানা গেছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে থাকা ‘মিগ-২৯কে’ যুদ্ধবিমান ইতোমধ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেশের উত্তর ভাগের বিমানবাহিনীর একাধিক বিমানঘাঁটিতে। চীনকে যাতে দ্রুত প্রত্যাঘাত করা যায়, সে জন্যই ভারতীয় নৌবাহিনীর এ তত্‍‌পরতা বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও একটি মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, লাদাখ সেক্টরের বিমানঘাঁটিতেও বেশ কয়েকটি ‘মিগ-২৯কে’ যুদ্ধবিমান এনে রাখা হয়েছে এরই মধ্যে। সেনা সূত্রে খবর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করেই চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এ নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে এরই মধ্যে ভারতের হাতে এসেছে ‘ভারত’ অস্ত্র। ভারতীয় সেনাদের হাতে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন তুলে দিয়েছে ‘ভারত’ নামের একটি বিশেষ ড্রোন। সেনা সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই ‘ভারত’। এই বিশেষ ড্রোন উঁচু পাহাড়ে ঘেরা এলাকায় নজরদারি চালাতে বিশেষভাবে সক্ষম। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নজরদারি চালানোর জন্যই আপাতত ব্যবহার করা হবে ‘ভারত’কে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ‘ভারত’ হলো এমন ড্রোন, যা বেশ হালকা। আর, পাহাড়ি অঞ্চলে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে যে ড্রোনগুলো, তার মধ্যেও অন্যতম। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিখুঁতভাবে নজরদারি চালাতে এই ড্রোনের জুড়ি মেলা ভার।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে