চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় এক ‘ভুয়া চিকিৎসক’ আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁর নাম মাহফুজুল আলম।
বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, মাহফুজের ভুল চিকিৎসায় নাচোল জননী ক্লিনিকে নাহিদা খাতুন নামের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় মাহফুজকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত মাহফুজের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে নাচোল থানায় নিয়ে আসা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাহফুজ টয়েলেটে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ বের না হলে দায়িত্বরত কনস্টেবল ওসিকে খবর দেন। ওসি আমাকে বিষয়টি জানালে বিকেল ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান, নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, নাচোল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক, নাচোল পৌরসভার মেয়র আবদুর রশিদ খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে টয়লেটের দরজা ভেঙে লাশ বের করা হয়।’
পুলিশ সুপার বলেন, হাজতখানার ভেতরের টয়েলেটে মাহফুজ তাঁর ফুলপ্যান্ট খুলে তা দিয়ে দরজার বিমের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের মাহফুজ আলম চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে নিজেকে ‘ডা. মাসুদ রানা’ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। গত বুধবার জননী ক্লিনিকে তাঁর করা অস্ত্রোপচারে শিশু নাহিদা মারা যায়। ওই ঘটনায় দায়ের হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।