ময়মনসিংহের ভালুকায় কর্মস্থলে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার মামলা হয়েছে। মামলার পর উপজেলার গুঁজিকা গ্রাম থেকে ‘ধর্ষক’ শাহীনের (২২) ভগ্নিপতি মঞ্জুরুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
নির্যাতিতা কিশোরীর ভগ্নিপতির বরাত দিয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহামেদ জানান, শুক্রবার ভালুকায় নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। পথে উপজেলার নন্দীগ্রামের শাহীন নামের এক যুবক তাকে রাস্তা থেকে তুলে গুঁজিখা গ্রামে ভগ্নিপতি মঞ্জুরুলের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন শাহীন। এরপর শনিবার অজ্ঞান অবস্থায় ওই কিশোরীকে ময়মনসিংহ শহরের একটি বাসায় নিয়ে যান শাহীন।
সেখানে দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন তিনি। এরপর রোববার রাতে কিংবা সোমবার ভোরের কোনো এক সময় শম্ভুগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অচেতন অবস্থায় কিশোরীকে ফেলে রেখে যান শাহীন। খবর পেয়ে সোমবার সকালে কিশোরীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার ভগ্নিপতি।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর ভগ্নিপতি বাদী হয়ে শাহীন, তার বোন সাবিনা আক্তার ও ভগ্নিপতি মঞ্জুরুল হককে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর থেকে শাহীন ও তার বোন পলাতক।