বিধ্বস্তের আগে পাইলট যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি জানানোর পর বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুম পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) উড়োজাহাজটিকে অবতরণ করতে বলেছিল। এমনকি দুটি রানওয়ে অবতরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয় তাকে। তবে এরপরও পাইলট উড়োজাহাজটিকে অবতরণ না করিয়ে বিমানবন্দরের আশেপাশে চক্কর কেটেছিলেন।
শুক্রবার জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে করাচি মডেল টাউনে ৯৮ আরোহী নিয়ে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের পর এ কথা বলেন পিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক এয়ার মার্শাল আরশাদ মালিক।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) মুখপাত্র আব্দুল্লাহ হাফিজ জানান, এ৩২০ এয়ারবাস পিকে ৮৩০৩ ফ্লাইটে ৯০ জন যাত্রী ও আট জন ক্রু ছিল। এটি লাহোর থেকে করাচি যাচ্ছিল। অবতরণের আগ মুহূর্তে এটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিধ্বস্তের আগে উড়োজাহাজটি দুবার অথবা তিনবার অবতরণের চেষ্টা করেছিল।
শাকিল আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘উড়োজাহাজটি প্রথমে একটি মোবাইল টাওয়ারকে ধাক্কা দেয়। পরে এটি কয়েকটি বাড়ির ওপর যেয়ে পড়ে।’ বিধ্বস্তের স্থান থেকে বিমানবন্দরের দূরত্ব ছিল মাত্র কয়েক কিলোমিটার।
উড়োজাহাজে টুয়েন্টি ফোর নিউজের অনুষ্ঠান পরিচালক আনসার নাকাবি এবং ব্যাংক অব পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট জাফর মাসুদ ছিলেন। মাসুদ প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সিন্ধু প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী নাসির হুসেইন শাহ জানিয়েছেন, দুই যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল জানান, উড়োজাহাজটি জনবহুল এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ওই এলাকায় কতজন হতাহত হয়েছে।
ইদি ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র সাদ ইদি জানিয়েছেন, তারা অ্যাম্বুলেন্সে ৩৫টি মৃতদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এছাড়া ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।