সোমবার দুপুর ২:২৮

৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ হেমন্তকাল

মানিকগঞ্জে আখের বাম্পার ফলন, তবু শঙ্কিত কৃষক

মানিকগঞ্জে চলতি মৌসুমে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। এর পরও কৃষকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পানি ক্ষেতে জমে আছে। পানি বাড়ছে, তাই ক্ষেত তলিয়ে যাওয়া ও আখের গোড়া পচে যাওয়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা।

মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর, সাটুরিয়া উপজেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বোম্বাই আখ চাষ করেছেন কৃষকরা। তাছাড়া শিবালয়, দৌলতপুর, হরিরামপুর ও ঘিওরে কিছু কিছু এলাকায় আখ চাষ হয়।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গ্যানেশ চন্দ্র রায় জানান, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে ১১ হাজার ১১৬ একর জমিতে বোম্বাই জাতের আখ চাষ করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গিলন্ড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পানি ক্ষেতে জমে রয়েছে। আবার যমুনা ও পদ্মার পানি বাড়ায় কিছু কিছু ক্ষেতে বানের পানি ওঠার উপক্রম হয়েছে।

গিলন্ড গ্রামের আখ চাষি আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আখ চাষ করার পর ১১-১২ মাস পর বিক্রি করার উপযোগী হয়। কার্তিক মাষে চারা রোপণ করি। বোম্বাই জাতের আখ চাষ করেছি। এক পাখি (৩০ শতাংশ) জমিতে আখ চারা থেকে বিক্রি করা পর্যন্ত ২২-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভাল হলে ক্ষেত ধরে পাইকারি বিক্রি করলে ৫০-৬০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। খুচরা বিক্রি করলে আরো বেশি দাম পাওয়া যায়।’

একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি জমেছে ক্ষেতে। পানি নামার ব্যাবস্থা নাই। কয়েকদিন পানি জমে থাকলে আখ নষ্ট হয়ে যাবে।’

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শাজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, ‘বন্যার পানিতে ইতোমধ্যে কিছু ক্ষেত আংশিক ডুবে গেছে। বেশিরভাগ আখ ক্ষেতে বন্যার পানি ওঠেনি। আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করেছি। বন্যার পানি উঠে আখ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রণোদনার জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।’







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে