ভারতে লকডাউন শিথিল হলেও দেশটির সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কোনো ধরনের ভ্রমণে পথিমধ্যে আইনগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
শনিবার (২ মে) নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্দেশে এ বার্তা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করছেন। তারা ভারতে লকডাউনের আংশিক শিথিলতার সুযোগে দেশে ফেরানোর প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে সুবিধা লাভের চেষ্টা করছেন। কিন্তু হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারের অনুমোদন নেওয়া ছাড়া আন্তঃরাজ্য ভ্রমণে পথিমধ্যে আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তারা।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনার দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ মে দিল্লি হয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে করে ১৫১ জন এবং চেন্নাই হয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে করে ১৬৭ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। দিল্লি থেকে ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী রয়েছেন।
এছাড়া দিল্লি ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরাও এ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন। দিল্লি থেকে যাত্রার আগে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের একটি দল। চেন্নাই থেকে ফেরা যাত্রীদের অধিকাংশই রোগী ও তাদের সঙ্গে সেবাকারী হিসেবে আগত পরিবারের সদস্য। আগামী তিন দিনে মুম্বাই, কলকাতা ও দিল্লি থেকে বিমানে করে আরও প্রায় চারশ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন বলে এতে বলা হয়েছে।
প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত সব তথ্যাদি হাইকমিশনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে নিয়মিতভাবে আপলোড করা হচ্ছে। স্থলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য পালনীয় নিয়মাবলী ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। হেল্প লাইনগুলোও চালু রয়েছে। তাই সবাইকে হালনাগাদ তথ্যের জন্য হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিগুলো অনুসরণ করতে অনুরোধ করা হয়।