নয় দিন চেষ্টার পর সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে নৌকায় করে উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী পার হয়ে পালাতে চেয়েছিলেন। পালানোর কৌশল হিসেবে তিনি বোরকাও পরেছিলেন বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সকাল ৯টার দিকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে আনা হয়।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন, গত ৯ দিন ধরে সাহেদকে অনুসরণ করা হচ্ছিলো। কিন্তু তিনি ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। এজন্য বারবার তার কাছাকাছি গিয়েও ধরা যাচ্ছিলো না। এরপর গতরাতে সাতক্ষীরা র্যাব-৬ এর সহায়তায় তাকে অনুসরণ করে নৌকায় করে স্থানীয় লবঙ্গবতী নদী পার হওয়ার সময় ধরা হয়। এসময় তিনি বোরকা পরে ছিলেন। তার সঙ্গে কিছু লোকাল দালালও ছিল। এর মধ্যে একজনের নাম বাচ্চু। দালালদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের সময় সাহেদের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল এবং তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। তিনি সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল। প্রাথমিকভাবে তার কাছে পাওয়া কিছু তথ্যের যাচাই-বাছাই করা হবে।
তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি এই র্যাব কর্মকর্তা।
বিকেল ৩টায় সাহেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে র্যাব মহাপরিচালক বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানাবেন।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। সাহেদের খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।