চেষ্টা ও ইচ্ছাশক্তি মানুষকে হীরার মতো শক্ত ও দামি করে তুলতে পরে। তেমনই ইচ্ছাশক্তির অধিকারী রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মুন্নী রাণী। তিনি ৩৮তম বিসিএসে সারা দেশে ইংরেজি বিষয়ে প্রথম হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন মুন্নী রাণী। স্নাতকে ৩.৫৮ ও স্নাতকোত্তরে ৩.৫৯ সিজিপিএ পেয়ে বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।
নিজের ভালোলাগা এবং পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়েছেন মুন্নী রাণী। তিনি বর্তমানে রংপুরে সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে ইংরেজিতে প্রথম হওয়ার সাফল্য অর্জন করেছেন মুন্নী রানী।
স্নাতকে সারা বছর ক্লাস, অ্যাসাইমেন্ট, পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হতো। সবকিছুর পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়েছেন মুন্নী। সময় নষ্ট না করে পড়াশোনা চালিয়েছেন। ইংরেজির শিক্ষার্থী হওয়ায় ইংরেজিতে বেসিক ভালো ছিল। নিয়মিত গণিত ও বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান ও বাংলা চর্চা করেছেন।
দেশের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং সাফল্য সম্পর্কে মুন্নী রানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই স্বপ্ন দেখতাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার। পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। বিসিএস পরীক্ষার পর নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল যে, ক্যাডার হতে পারব।’
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত পড়তে হবে। ভেবেচিন্তে ক্যাডার নির্বাচন করতে হবে। গণিত ও ইংরেজির ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। শুরু থেকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। যেহেতু বিসিএস পরীক্ষা অনেক প্রতিযোগিতামূলক, এজন্য পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখতে হব। নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে। সমসাময়িক বিষয়গুলো সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। চাপমুক্ত থেকে পরীক্ষা দিতে হবে।’
মুন্নী রাণী রংপুরের কে জে ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং শঠিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তার জন্ম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র দেখতে এবং গল্প-উপন্যাস পড়তে খুব ভালবাসেন তিনি।
লেখক : শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।