পারিপার্শ্বিক জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জানার স্বাধীনতা নিয়েই মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছে। তথ্যের অধিকার কিংবা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তাই কোনো শ্রেণিবিশেষের অধিকার নয়- অধিকার গণমানুষের অধিকার।
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। প্রতি বছর ৩ মে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালিত হয়। এ বছর এমন এক পরিস্থিতিতে দিবসটি এসেছে, যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্ব স্তম্ভিত। এ বছর দিবসটির স্লোগান, ‘ভয় বা পক্ষপাতিত্ববিহীন সাংবাদিকতা’।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অর্থাৎ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকরা এ দিবসটি পালন করে আসছেন।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এই দিবসটিতে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থা কেমন? গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘‘রিপোটার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স’’ বা আরএসএফ এর এপ্রিলের শেষার্ধে প্রকাশিত ২০২০-এর রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ১৫১তম স্থানে- যা এর আগের বছর ছিল ১৫০তম স্থানে। ২০১৮ সালে ছিল ১৪৬তম স্থানে।
এ সম্পর্কে ভয়েস অব আমেরিকার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে- দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রসহ অনেক সংস্থাই বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিম্নধারার পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এক বিবৃতিতে কোভিড মহামারির তথ্য জানানোর জন্য অক্লান্তভাবে, কষ্টকর এবং বিপদজ্জনক পরিবেশে কাজ করে যাওয়ার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অসুস্থ হয়ে পড়া সাংবাদিকদের অবদানের জন্য তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।