সম্প্রতি অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান ঘিরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। ভ্রমণসহ নানা প্রয়োজনে যারাই মালয়েশিয়ায় ঢোকার চেষ্টা করছেন, সন্দেহ হলেই তাদের আটকে দেয়া হচ্ছে। ফলে বৈধ কাগজ থাকার পরও অনেক বাংলাদেশিকে জেল খেটে দেশে ফিরতে হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই দেশটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুয়ালালামপুর থেকে ফেরত আসা এক যাত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে নামার পর পরই বাংলাদেশি যাত্রীদের আলাদা করে লাইনে দাড় করাচ্ছেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। নিজেদের খেয়ালখুশিমতো যাকে ইচ্ছে এন্ট্রি সিল না দিয়ে অফিসে ডেকে নেয়া হচ্ছে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের নামে দাড় করিয়ে রাখা হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
কাউকে আবার বসিয়ে রেখেই হয়রানি করা হচ্ছে। পছন্দ হলে এন্ট্রি সিল দেয়া হচ্ছে, নয়তো আটক করে বিমানবন্দরের ভেতরের ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে (জেল) ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরে ফিরতি টিকিটের দিন দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনা এখন প্রায় প্রতিটি ফ্লাইটেই ঘটছে। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে যারা ১০ দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে মালয়েশিয়া গেছেন, তাদের প্রায় ১০ দিনই জেল খাটতে হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ এ প্রসঙ্গে বলেন, ভিসাসহ বৈধ সব নথি থাকার পরও কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রবণতা বাড়ছে। এমনও হয়েছে, কোনো কোনো ফ্লাইটের ৭০ শতাংশ যাত্রীকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
যাদের অনেককেই কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে (হাজতে) কয়েক দিন বন্দি থাকতে হয়েছে। আবার ইমিগ্রেশন পার হতে না পারা যাত্রীরা দেশে এসে তাদের লাগেজও পাচ্ছেন না। বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রতিনিয়তই এ ধরনের অভিযোগ আসছে বলে জানান তিনি।