বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে প্রথম শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।
ফাইনালে ভারতের দেওয়া ১৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করছিল বাংলাদেশ। ৪১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে ১৬৩ রান। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের লক্ষ্য নেমে আসে ১৭০ রানে। ৩০ বলে সেই লক্ষ্য ছুঁতে হতো বাংলাদেশকে। ৭ বলেই বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে।
৩ উইকেটের জয়ে আকবরা বিজয় উৎসব করছে পচেফস্ট্রুমে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ ১৭০/৭ (৪২.১ ওভার)
ভারত : ১৭৭/১০ (৪৭.২ ওভার)
আকবর ম্যাচ সেরা
ফাইনাল ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন আকবর আলী। খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
সপ্তম দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। প্রথম সুযোগেই বাজিতাম টাইগারদের। সপ্তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জিতল যুব বিশ্বকাপ। সর্বোচ্চ চার শিরোপা জিতেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান দুবার করে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একবার যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে।
অসাধারণ আকবরে শিরোপা বাংলাদেশের
ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল বাংলাদেশ। সেখানে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আকবর। অধিনায়ক জানতেন শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিলে জয় হবে বাংলাদেশের। সেই পরিকল্পনাতেই আকবরের দৃঢ়চেতা ইনিংস। তাতে জয় আসল লাল-সবুজের। তার ৭৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে বিজয়ের পতাকা উড়াচ্ছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আকবরকে অষ্টম উইকেটে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন রাকিবুল। ২৫ বলে ৯ রান করেন স্পিন অলরাউন্ডার। দুজনের ৬১ বলে ২৭ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
বাংলাদেশের দেড়শ
৩৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আকবর আলীর ব্যাট থেকে আসল এক রান। ডিপ ফাইন লেগে বল পাঠিয়ে এক রান নিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এ রানে বাংলাদেশের রান দেড়শ স্পর্শ করে।
ইমনের ৩ রানের আক্ষেপ
হাফ সেঞ্চুরি পেতে ৩ রান দরকার ছিল ইমনের। জয়সওয়ালকে কভার দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখানে ফিল্ডার ছিলেন প্রস্তুত। ৪৭ রানে সাজঘরে ফিরলেন ইমন। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ৩৫ রান। কাজটা কঠিন হয়ে গেল বাংলাদেশের।
২৫ ওভারে দরকার মাত্র ৬৮ রান
লক্ষ্য একদম নাগালে। ২৫ ওভারে করতে হবে মাত্র ৬৮ রান। তাহলেই শিরোপার স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। ১৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১১০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে আছে বাংলাদেশ। উইকেটে এখন ব্যাটিং করছেন অধিনায়ক আকবর ও পারভেজ ইমন।
আরেকটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ
দুবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না পেস অলরাউন্ডার অভিষেক দাস। সুশান্ত মিশ্রর শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন অভিষেক।
শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ
২৩তম ওভারের চতুর্থ বল কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন অভিষেক দাস। ৯৮ থেকে বল পৌঁছে গেল ১০২ রানে। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ৭৬ রান।
বাজে শটে শামীম ফিরলেন
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তুলছিলেন শামীম ও আকবর। কিন্তু হঠাৎ পথ হারালেন শামীম। বাঁহাতি পেসার শুশান্ত মিশ্র বোলিংয়ে এসে পেলেন উইকেট। শর্ট বল ডিপ কভার দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন শামীম। বাইরে ফিল্ডার থাকার পরও এমন বাজে শট শামীমের। ১৮ বলে ৭ রান করেন স্পিন অলরাউন্ডার।
স্ট্যাম্পড হয়ে শাহাদাত সাজঘরে
রবি বিশ্বনই পেলেন আরেকটি উইকেট। এবার শাহাদাত স্ট্যাম্পড হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে বল মিস করেন শাহাদাত। বল ধরেই উইকেট ভাঙেন জুরেল। চোখের পলকে স্ট্যাম্পড শাহাদাত। ১০ বলে ১ রান করে ফেরেন শাহাদাত। ১৫ রান তুলতে বাংলাদেশ হারাল ৪ উইকেট।
পারলেন না হৃদয়ও
পারভেজ ইমন চোটে মাঠ ছাড়লে ব্যাটিংয়ে আসেন তৌহিদ হৃদয়। ডানহাতি ব্যাটসম্যান স্কোয়াডে সবথেকে অভিজ্ঞ। কিন্তু বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না ডানহাতি ব্যাটসম্যান। লেগ স্পিনার রবি বিশ্বনইয়ের গুগলি বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হয়েছে হৃদয়।
আজ পারলেন না মাহমুদুল
সেমিফাইনালে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে হেসেছিল বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি তুলে জিতিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু শিরোপার লড়াইয়ে হাসল না তার ব্যাট। লেগ স্পিনার রবি বিশ্বনইয়ের গুগলিতে বোল্ড হন মাহমুদুল। ১২ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
তানজিদ সাজঘরে
প্রায় একই বলে একই শট। কিন্তু এবার ব্যাটের মাঝে লাগল না। তানজিদ লং অন দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন। এবার বল যায় কার্তিকের হাতে। ২৫ বলে ১৭ রানে সাজঘরে ফিরলেন বাঁহাতি ওপেনার।
ছক্কায় বাংলাদেশের পঞ্চাশ
লেগ স্পিনার রবি বিশ্বনইকে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরে দলের রান পঞ্চাশে নিয়ে যান তানজিদ হাসান। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৫০ রান পায় বাংলাদেশ।
ভালো শুরু বাংলাদেশের
কার্তিক তেয়াগির করা প্রথম ওভারে ১৩ রান তুলে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। উড়ন্ত সূচনার পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। ৫ ওভারে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৯। দুই বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ ও ইমন ইতিবাচক ক্রিকেট খেলছেন।
২১ রানে ৭ উইকেট!
বড় স্কোরের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্রেফ এলোমেলো হয়ে যায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ৭ উইকেট ভারত হারিয়েছে ২১ রানে। শুধু নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই নয়, গ্রাউন্সফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ছিল একশতে একশ। দুর্দান্ত ক্যাচ, নিখুঁত রান আউটে ফাইনালে এখন পর্যন্ত এগিয়ে বাংলাদেশ।
দ্রুত উইকেট হারাচ্ছে ভারত
আরেকটি রান আউটে ভারত হারাল সপ্তম উইকেট। রাভি ভুশোনিকে রান আউট করেন পেসার শরীফুল। পরের ওভারে অভিশেক দাস এসে নেন ২ উইকেট। প্রথম বলে তার শিকার আনকোলকার। বাড়তি বাউন্সের বল উইকেটে টেনে আনেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ওই ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কার্তিক তেয়াগি। ৯ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ১৭২।
রান আউটে সাজঘরে জুরেল
বিগ মিক্সআপ। শামীমের থেকে বল পেয়ে যখন আকবর আলী উইকেট ভাঙেন তখন ভারতের দুই ব্যাটসম্যান একই প্রান্তে। জুরেলের ডাকে সাড়া দিয়ে রান নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন আনমোলকার। কিন্তু মাঝপথে ফিরে আসেন। ততক্ষণে জুুরেলের ফিরে যাওয়ার উপায় ছিল না। প্রায় একই সঙ্গে দুই ব্যাটসম্যান বোলিং প্রান্তে ব্যাট স্পর্শ করেন। মাত্র কয়েক ইঞ্চি এগিয়ে থেকে বেঁচে যান আনমোলকার। ২২ রানে জুরেল ফেরেন সাজঘরে।
এক ওভারে শরীফুলের দুই উইকেট
বোলিংয়ে ফিরে জোড়া সাফল্য পেলেন শরীফুল। শুরুটা বিপজ্জনক জয়সাওয়ালকে দিয়ে। সেঞ্চুরির পথে থাকা এ বাঁহাতিকে ৮৮ রানে আউট করেছেন শরীফুল। এক বল পর সিদ্ধেশ বীরকে এলবিডব্লিউ করান বাঁহাতি পেসার। জয়সাওয়াল শরীফুলের শর্ট বল উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। ১২১ বলে ৮৮ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। নতুন ব্যাটসম্যান বীরকে শুরুতেই ফুলটস দিয়েছিলেন শরীফুল। অপ্রত্যাশিত বলে গোল্ডে ডাক হজম করতে হয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বীরকে।
তৃতীয় আঘাত রাকিবুলের : দলীয় ১১৪ রানের মাথায় ভারতের শিবিরে তৃতীয় আঘাতটি হানেন রকিবুল হাসান। তার করা ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে কাভারে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন প্রিয়াম গার্গ।
দ্বিতীয় আঘাত সাকিবের : যয়স্বী জয়সাওয়াল ও তিলক ভার্মার জুটি বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। তারা দুজন ২২.২ ওভারে ৯৪ রান তুলে ফেলেছিল। তবে এই জুটিকে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব। তার বলে শরীফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিলক ভার্মা। ৬৫ বল খেলে ৩৮ রান করেছেন তিনি।
২০ ওভার শেষে ৬৩/২ : প্রথম দশ ওভারে ভারতকে কোণঠাঁসা করে রেখেছিল বাংলাদেশ। পরের দশ ওভারে সেখান থেকে কিছুটা বেরিয়ে এসেছে ভারত। তবে এখনো তাদের চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। ২০ ওভার শেষে ভারতের যুবাদের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান।
১০ ওভারে ভারত ২৩/১ : এক উইকেট হারিয়ে প্রথম ১০ ওভারে ২৩ রান তুলেছে ভারত। যশস্বী জয়সাওয়াল ৩৫ বল খেলে ১৪ রান করেছেন। ৮ বল খেলে ২ রান করেছেন তিলক ভার্মা। অবশ্য এই দশ ওভারে দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশ।
অভিষেক ফেরালেন সাক্সেনাকে : বল হাতে এসে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলেন অভিষেক দাস। তার করা তৃতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ধরা পড়েন দিব্যনাস সাক্সেনা। ৭ বল খেলে ২ রান করে যান তিনি।
সাকিবের মেইডেন ওভার : শরীফুলের পর তানজিম হাসান সাকিবও মেইডেন আদায় করে নেন। দুই ওভার শেষে ভারত কোনো রান নিতে পারেনি।
শরীফুলের মেইডেন ওভার : বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন বাংলাদেশের শরীফুল হাসান। তিনি অবশ্য প্রথম ওভারে কোনো রান দেননি।
এই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পফেচট্রুম ভেন্যুতে প্রথম ইনিংসে গড় রান ২০১.৫। এখন দেখার বিষয় ভারত কত রানের টার্গেট ছুড়ে দেয়।
বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। হাসান মুরাদের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন অভিষেক দাস। ভারত অবশ্য অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলছে।
বাংলাদেশের একাদশ : পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন, শামীম হোসেন, আকবর আলী (অধিনায়ক), রকিবুল হাসান, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও অভিষেক দাস।
ভারতের একাদশ : যশস্বী জয়সাওয়াল, দিব্যনাশ সাক্সেনা, তিলক ভার্মা, ধ্রুব জুরেল, প্রিয়াম গার্গ, সিদ্ধেশ বীর, আনকোলেকার, রবী বিষ্ণু, সুশান্ত মিশ্রা, কার্তিক তেয়াগি ও আকাশ সিং।
যুব বিশ্বকাপ সবশেষ বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হয়েছিল দল দুটির। যথারীতি ভারত হয়েছিল বিজয়ী। এ ছাড়া আরো সাতবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। তার মধ্যে দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। বাকি পাঁচটিতে ভারত ৪, বাংলাদেশ ১।
২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হেরেছিল। ২০১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালেও বাংলাদেশ হেরেছে ৫ রানে। সবশেষ গেল বছরের জুলাইতে ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফাইনাল অপেক্ষা করছে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য।