করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনের ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডা. সাবরিনাকে ডিবি পুলিশের মিন্টো রোডের কার্যালয় থেকে আদালতে নেওয়া হয়। তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। ১টা ৪৩ মিনিটে তাকে এজলাসে তোলা হয়। এর পরেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) লিয়াকত আলী সাবরিনার পুনরায় যে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন সে বিষয়ে শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া এবং সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন। আসামিপক্ষে সাইফুজ্জামান (তুহিন), ওবায়দুল হাসান বাচ্চু, আবদুস সালাম প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে পুনরায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুর ২টা ৬ মিনিটে সাবরিনাকে আদালত থেকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
গত ১২ জুলাই দুপুরে ডা. সাবরিনাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার রোগীর করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেয়। যার বেশিরভাগই ভুয়া রিপোর্ট বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে তা সিলগালা করে দেওয়া হয়। এসময় করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের হোতা হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, ওভাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ জুলাই মামলাটির তদন্তভার ডিবিকে দেওয়া হয়। ১৫ জুলাই ডিবি সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী ও সাঈদ চৌধুরীর ফের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তারা রিমান্ডে আছেন।