মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলিবর্ষণে দুজন নিহতের ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তমব্রু ইউনিয়নে হাই অ্যালার্টে রয়েছে বিজিবি। জানিয়েছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার তুমব্রু সীমান্তের বাজাবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপর পাশের ৫-৬ কিলোমিটার দূরে ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দে নোম্যান্স-ল্যান্ডে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘটনায় সন্ত্রাসী ও মিয়ানমারের বাহিনীর সংঘাতে দুজন নিহত হয়। তবে তারা সশস্ত্র সন্ত্রাসী নাকি বিজিপির সদস্য সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ আরও বলেন, তাদের ঘটনার কোনো রিঅ্যাকশন আমাদের সীমান্তে না আসে সেজন্য সীমান্তজুড়ে সবাই হাই অ্যালার্টে আছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলেও এসময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো গোলাবারুদ এসে পড়েনি।
আরও জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের রেংমং টিলা এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপ হারাকাহ আল ইয়াকিনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করছিল বিজিপি। সীমান্তে এ ধরনের অভিযানের সময় প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত বাহিনীকে আগাম তথ্য প্রদানের নিয়ম থাকলেও তা অবহিত করা হয়নি বিজিবিকে। ফলে এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নোম্যানস ল্যান্ডে গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে, ঘটনাটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঘটেছে।