নরসিংদীতে বিল্লাল হোসেন (৪৮) নামে এক পত্রিকার হকারকে বাইসাইকেল দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
শনিবার (২২ আগস্ট) এ বাইসাইকেটি তার হাতে তুলে দেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে এগিয়ে এসেছেন। তিনি সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন।
জানা যায়, কঠোর পরিশ্রম ও সংসারের বোঝা বইয়ে অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেছেন পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের মৃত আফসর উদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৮)। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাইসাইকেলে করে বিভিন্ন পত্রিকা বিক্রি করছেন। উপজেলার ছোট-বড় সবাই তাকে এক নামে চিনে পত্রিকা বিক্রেতা বিল্লাল ভাই নামে। তার জীবন ধারণের একমাত্র সম্বল একটি বাইসাকেল বিগত কয়েক মাস যাবৎ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরায় তিন মেয়ে ও এক ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন। এ ঘটনা নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহেদ আহমেদের নজরে আসলে তিনি পত্রিকা বিক্রেতা বিল্লাল হোসেনেকে নতুন একটি বাইসাকেল কিনে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সে মোতাবেক শনিবার (২২ আগস্ট) নরসিংদীর ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল উপস্থিত হয়ে হকার বিল্লাল হোসেনের হাতে নতুন বাইসাকেল বুঝিয়ে দেন। এ সময় ঘোড়াশাল ফাঁড়ি পুলিশের ইনর্চাজ জহিরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
নতুন বাইসাইকেল হাতে পেয়ে বিল্লাল হোসেনের মন খুশী হয়েছেন খুবই। তিনি পুলিশের জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করতে থাকেন। সুখে-দুঃখে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মঙ্গল কামনায় তার দুচোখ পানিতে ভরে উঠে।
এর আগেও নরসিংদীর সদর এলাকায় রহুল আমিন (৬৬) নামে এক পত্রিকা বিক্রেতাকে নতুন বাইসাইকেল কিনে দিয়েছেন ওই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
এছাড়াও মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে পলাশের অশ্রু (৭) নামে এক স্কুল ছাত্রীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে মানবতার এক উজ্ঝল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। পুলিশের এমন মানবিক কর্মকাণ্ডে জেলার মানুষদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহেদ আহমেদে জানান, ‘অনৈতিকতার ঊর্ধ্বে থেকে কারো সহযোগিতায় পাশে থাকাটাকেও আমি দায়িত্ব মনে করি। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সামান্য সহযোগিতা করতে পারায় নিজে সম্মানিতবোধ করছি।’