হেপি, মনোহরদী-নরসিংদী, প্রতিনিধি: ঔষধি গুনে ভরপুর বিদেশী এক ফলের নাম ড্রাগন ফল। ক্যানন্সার থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস সহ নানা রোগের মহাঔষধ এই ড্রাগন ফল। এই ফল দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমন সু-স্বাদু। ঔষধি গুনে গুনান্বিত, রসালো এবং মুখরোচক এই ড্রাগন ফল বানিজ্যিক ভাবে চাষ করেছেন নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের চরতারাকান্দী গ্রামের মো: মানিক মিয়া। মাত্র ১ বছরে ওনার বাগানে ড্রাগন ফল গাছে ফল ধরা শুরু হয়েছে। মানিক মিয়ার ড্রাগন বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে এলাকার অন্য সব কৃষকরাও।বতর্মানে তিনি স্থানিয়দের কাছে ড্রাগন ফল এবং মালটা চাষি হিসাবে পরিচিত। মো: মানিক মিয়া বলেন, এই সব ফল চাষ করার আগে তিনি সৌদি আরবের প্রবাসী ছিলেন। এখন তিনি ড্রাগন চাষি হিসাবে পরিচিত। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মো: মানিক মিয়া নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন ড্রাগন ফল, লেবু এবং মালটা বাগান। ওনার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি ড্রাগন ফল গাছে শোভা পাচ্ছে। এই ফলটি পাকার পর অত্যন্ত মিষ্টি এবং সু-স্বাদু হয়। মো:মানিক মিয়া বলেন আমি ৫৩ শতাংশ জমি নিয়ে ড্রাগন ফল, লেবু এবং মালটা চাষ করছি। সেখানে তিনি প্রায় এক হাজার ড্রাগন চারা রোপন করেন। বাগানে ২ জাতের (সাদা এবং ম্যাজেন্ট) ড্রাগন, লেবু এবং মালটা চারা রয়েছে। এই পযর্ন্ত ওনার প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ড্রাগন চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকুল থাকার কারনে ইতিমধ্যে চারাগুলো পরিপক্ক হয়ে ওঠেছে। চারা গুলোতে ৯ মাসে ফুল ধরে, ১০ মাসে হতে ড্রাগন ফল ধরা শুরু হয়েছে। এসব ফল দেখতে ও কিনতে বাগানে আসছে এলাকার লোকজন। একবার চাষ করে ২০ বছর পযর্ন্ত ফল পাওয়া যায় এই ড্রাগন গাছ থেকে। প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি করা যায়। এই ফল এখন অত্যন্ত লাভজনক ফসলে পরিণত হচ্ছে। ড্রাগন ফলের গাছ মূলত কান্ড থেকে হয়। এই ফল চাষ করার জন্য অতিরিক্ত কোন রাসায়নিক সার বা কীটনাশক এর প্রয়োজন হয় না। শুধু মাত্র জৈব সারই যতেষ্ট। অন্যান্য ফলও সবজি চাষ করার চেয়ে ড্রাগন ফল চাষ করে তিনি খুবই আনন্দিত। মো: মানিক মিয়া আরো জানান আগামীতে আরো ড্রাগন ফল চাষ করবেন এভাবে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
নরসিংদীতে ড্রাগন ফল চাষ করে স্বাবলম্বী মানিক মিয়া
প্রকাশ : আগ ১৩, ২০২০ | Comments Off on নরসিংদীতে ড্রাগন ফল চাষ করে স্বাবলম্বী মানিক মিয়া