যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় ও অপচয় কমানোর উদ্দেশ্যে বানানো ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) কার্যক্রম দেখভাল করা ধনকুবের ইলন মাস্ক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে ‘উত্তপ্ত’ মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস হয়েছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ওই বৈঠকে তাদের মধ্যে এই তর্ক-বিতর্ক মূলত পররাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট কর্তনের ইস্যু নিয়ে হয়েছিল যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিতর্কিত’ নীতির ওপর নতুন করে আলো ফেলছে। প্রথমত, ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় মাস্ককে অন্তর্ভুক্ত করায় অনেক মন্ত্রিসভা সদস্যের জন্য তা অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে- ইলন মাস্কের সঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি ও ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ডগ কলিন্সের সঙ্গেও উত্তেজনা রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধের বাইরেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো- মাস্ক ও তার নেতৃত্বে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) সরকারি ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত।
টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্ক রুবিওকে আক্রমণ করে বলেন যে, তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘কাউকেই’ বরখাস্ত করেননি। উত্তরে রুবিও বলেন, ‘১৫০০ জন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। মাস্ক কি চান যে, তিনি তাদের আবার নিয়োগ দিয়ে পরে মাস্ক নিজেই তাদের ছাঁটাই করবেন?’