ঝড় ও বজ্রপাতের কবলে পড়েছে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি তাজমহল। তাজমহল কমপ্লেক্সের মূল ফটক এবং পাঁচটি গম্বুজের সব থেকে উচুটির নিচের একটি রেলিংসহ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মূল কাঠামোর মার্বেল ও লাল বালি পাথরের রেলিংও বেশ কিছুটা চটে গেছে। ফলস সিলিংও ভেঙে যায় ঝড়ের তাণ্ডবে।
এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী রোববার তজমহল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অংশে বয়ে যাওয়া মারাত্মক বজ্রপাতে তাজের একটি দরজাও ভেঙে গেছে। এছাড়া প্রাঙ্গণের ১০টি গাছ উপড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তাজমহল কমপ্লেক্সের সুপারিটেন্ডেন্ট বসন্ত কুমার স্বর্ণকার।
মহামারি করোনা বিস্তার ঠেকাতে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশটির শীর্ষ এই পর্যটন স্থাপনা তাজমহল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আগ্রার মেয়রের অনুরোধে ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় তখন তাজমহল পর্যটকদের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতের ওই ঝড়-বজ্রপাত উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আগ্রা শহরকে তছনছ করেছে। আর এই ঝড়-বজ্রপাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তাজমহলের মূল সমাধিটির রেলিংয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করছেন শ্রমিকরা।
দেশটির আবহাওয়া দফতর সূত্রে এনডিটিভি জানাচ্ছে, শুক্রবার রাতের ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৪ কিলোমিটার। তার জেরে আগ্রার বিভিন্ন এলাকায় উপড়ে গেছে গাছ। ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ টি বাড়ি। ঝড়ে বাড়ির ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে ছয় বছরের কিশোরীসহ ১৩ জন মারা গেছে।
ভারতের তাজমহল কর্তৃপক্ষ ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার’ (এএসআই) অঙ্কিত নামদেব জানান, ‘বৃষ্টি-ঝড়-বজ্রপাতের কারণে ঐতিহাসিক এ স্থাপত্যটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূল স্তম্ভের রেলিংয়ের একাংশ পড়ে গেছে। বেলেপাথরের একটি রেলিং পড়ে গেছে মেঝেতে। ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করে তা ঠিক করা হবে।’