রবিবার রাত ৯:৩৫

৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শরৎকাল

ঝামেলা ছাড়াই ই-পাসপোর্ট

দ্রুত সেবা পেতে দেশে শুরু হচ্ছে ইলেকট্রিক বা ই-পাসপোর্ট সেবা।

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট পাবেন বলে জানা গেছে।

ই পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করতে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশ, র‍্যাব, পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের আদলে এই সেবা আমরাও চালু করতে যাচ্ছি। ই-পাসপোর্টের সেবার ফলে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি এবং সময় লাঘব হবে। সরকারের উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের এটি একটি অন্যতম ধাপ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে এ সেবা পাওয়া যাবে। ক্রমান্বয়ে এ সেবা দেশের জেলা শহরগুলোতে শুরু হবে।

৪৮ ও ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ ও ১০ বছর। পাঁচ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার সাধারণ পাসপোর্ট মিলবে ১৫ দিনে। ফি সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

সাত দিনে পেতে হলে লাগবে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। দুই দিনে হলে সাড়ে সাত হাজার টাকা লাগবে।

অন্যদিকে ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টে উপরের তিন ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে পাঁচ হাজার, সাত হাজার ও নয় হাজার টাকা লাগবে ।

আবার পাঁচ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট করতে তিন ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে সাড়ে পাঁচ, সাড়ে সাত ও সাড়ে ১০ হাজার টাকা ফি লাগবে। এটি ১০ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে খরচ হবে যথাক্রমে সাত হাজার, নয় হাজার ও ১২ হাজার টাকা।

অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করে আবেদন করা যাবে। লাগবে না কোনো ছবি এবং কোনো কাগজপত্রের সত্যায়ন।

জানা গেছে, ই-পাসপোর্টে কাগজের সঙ্গে স্মার্টকার্ড প্রযুক্তিতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো থাকবে। প্রতিটি পাতায় খুব সুক্ষ্ম ডিজাইনের জটিলসব জলছাপ থাকবে।

পাসপোর্টের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসম্বলিত যে দুটি পাতা দেয়া হয় তা ই-পাসপোর্টে থাকবে না। সেখানে বসবে পলিমারের তৈরি একটি কার্ড। যেখানে থাকা একটি চিপের মধ্যে থাকবে পাসপোর্ট মালিকের সব তথ্য। এছাড়া, এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টে তথ্য ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে, এভাবে তথ্য সংরক্ষণে জালিয়াতির সম্ভাবনা থাকবে না। তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত হবে। পরিচয় জালিয়াতির বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে সীমান্তের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। একই সঙ্গে যেকোন সন্দেহভাজন আসামিকেও দ্রুত বের করা সম্ভব হবে।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে