ঝরে পড়া রোধে স্কুলে ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভাচুর্য়ালভাবে শিশু অধিকার দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণের দিকে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং স্কুলে ঝরে পড়া বন্ধে ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। যাতে তারা স্কুলে থাকে।’
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতিও নজর দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের চিকিৎসা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং এমনকি যারা চোখে দেখতে পারে না তাদের জন্য ব্রেইল বই দিচ্ছি। প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। শারীরিক অসুবিধা থাকলে তারা যেন কারো বোঝা হয়ে না থাকে সেই জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। আমাদের এই শিশুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো করছে। বিশেষ অলিম্পিকে প্রতিবন্ধী শিশুরাই স্বর্ণ জয় করে এনেছে। তারা ২১টি স্বর্ণসহ ৭১টা ট্রফি নিয়ে আসতে পেরেছে। তাদের যে মেধা তা বিকাশে বিশেষ একাডেমি করে দিচ্ছি আমরা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজের কোনো স্তরের কেউ যেন বাদ না পড়ে সে জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৃত্তি আমরা দিচ্ছি। করোনার মধ্যেও বৃত্তি উপবৃত্তি পৌঁছে দিচ্ছি। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করে দিচ্ছি। সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলার জন্য আমরা প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করছি। নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ঢাকা/ইভা