সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া জয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ছয় হাজার ১৬৭ ভোট পেয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার তাঁকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
মিজানুর রহমানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল হোসেন সেলিম জগ প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৬৩৭ ভোট। বিএনপির প্রার্থী মো. রাজু আহমেদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৩৩৪ ভোট। এ ছাড়া আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবিবুল বারী আয়হান মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ১৬ ভোট।
এর আগে পৌর নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহমেদ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল হোসেন নির্বাচন বর্জন করেন। আজ বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে তাঁরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে পৌরসভার ইকরছই মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
এর আগে আজ সকাল ৯টা থেকে পৌর উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুব কম। নির্বাচনে মেয়র পদে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে তিনজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী।
২০১৫ সালে সর্বশেষ জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবদুল মনাফ মেয়র নির্বাচিত হন। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জগন্নাথপুর পৌরসভার উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ মার্চ ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর মেয়র পদে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হলে প্রার্থীরা আবার মাঠে নামেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে ভোটার ২৮ হাজার ৫৫৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৩৩৮ জন ও নারী ভোটার ১৪ হাজার ২২১ জন। ভোটকেন্দ্র নয়টি। নির্বাচনে দায়িত্ব ছিলেন ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১১ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৭২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১৪৪ জন পোলিং কর্মকর্তা।