সমাজ ডেস্ক: করোনায় আক্রান্ত র্যাব কর্মকর্তাকে প্লাজমা দিয়ে জীবন বাঁচালেন এক চিকিৎসক। গত কয়েকদিন ধরে সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন ওই র্যাব কর্মকর্তা।
রংপুরে কর্মরত র্যাব-১৩ এর এক সদস্য গত ২৭ মে করোনায় আক্রান্ত হয়। তার বয়স ৫২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, প্রোস্টেড গ্লান্ড সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২৭ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত তাকে রংপুরে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় তাকে র্যাব নিজস্ব হেলিকপ্টারে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা জন্য নিয়ে আসে। তিনি ঢাকার সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে ইমপালস্ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হলে, প্লাজমা দেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্লাজমা দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, পিসি মনিরকে দুই দিন আগে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ইমপালস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার জরুরি ভিত্তিতে প্লাজমা দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্ত তার রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হওয়ায় ডোনার পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শাকিল এগিয়ে আসেন। শাকিলও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শাকিল প্লাজমা না দিলে তার জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে যেতো। কোন ডোনার পাওয়া যাচ্ছিল না।
শাকিল তার ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে বলেন- প্লাজমা দিয়েছি পুলিশ ব্লাড ব্যাংক এ । ঐখান থেকে তারা এটি কালেক্ট করেছেন। এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল । প্রায় ১৬০০০ টাকা খরচ হয় তাও পুলিশ ব্লাড ব্যাংক এই। প্রাইভেট হাসপাতালের কি অবস্থা আমার জানা নাই তবে নিশ্চয়ই অনেক বেশি।
গত ২৭ শে এপ্রিল ডাঃ শাকিলের করোনা পজেটিভ আসে। দীর্ঘ ১২ দিন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর করোনা মুক্ত ঘোষিত হয়ে বাসায় চলে আসে শাকিল। তারপর ১৪ দিন তার গ্রামের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থেকে পুনরায় কর্মস্থলে ফিরে যায়।
প্লাজমা দেয়ার ফলে আক্রান্ত র্যাব সদস্যের অবস্থার উন্নতি হয়েছে৷ মানবিক কাজে এগিয়ে আসার জন্য বাহিনীর পক্ষ থেকে ডা. মো. শাকিলকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান র্যাবের মহাপরিচালক।