চালু হলো করোনায় চিকিৎসায় দেশের প্রথম প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার। শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নগর ভবনে এই সেন্টারের উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্লাজমা নেবে কি না, তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিন্তু আমরা মনে করি, প্লাজমা দিয়ে যদি একটি প্রাণও বাঁচানো যায়, তাহলে এর চেয়ে মহৎ কাজ আর হবে না।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্লাজমার বিষয়ে ‘বাঁধন’ কাজ করবে। তবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লাগবে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া আমরা কাউকে প্লাজমা দেবো না।’’
তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি একসময় বেস্ট ব্লাড ডোনার হয়েছিলাম। তরুণদের বলবো, আপনারা প্লাজমা ডোনেট করতে এগিয়ে আসুন। একজনের কাছ থেকে ৬০০ এমএল প্লাজমা নেওয়া যায়। ওই প্লাজমা আমরা তিন জনকে দিতে পারবো।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ‘বাধন’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রকিব আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্যসচিব শাকিল আহমেদ, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মমিনুর রহমান মামুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা চিকিৎসায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই দেশে ‘প্লাজমা থেরাপি’ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এতে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে। জীবনও রক্ষা পাচ্ছে। জীবন রক্ষায় যারা প্লাজমা দিতে ও পেতে চান, তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় পরিচালিত কল (হটলাইন নম্বর—০১৮৪১১৮৮২৪-২৫) সেন্টারের মাধ্যমে প্লাজমা চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হবে ।
প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’। এছাড়া এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ডিএনসিসি, গাজী গ্রুপ কোভিড ১৯ টেস্ট সেন্টার, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন, সবাই মিলে সবার ঢাকা, ওলয়েল ডট কম এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।