কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার ছায়কট পশুর হাটে মঙ্গলবার লোকজনের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গায়ে গায়ে ঘেঁষে ছিল ক্রেতা-বিক্রেতারা। বেশির ভাগ লোক ও গরুর ব্যাপারিদের মুখে কোনো ধরনের মাস্ক ছিল না।
এদিকে হাটের মধ্যে হাঁটুসমান কাদা। লোকজন ভিড় ঠেলে কাদায় নেমে কিনেছে গরু-ছাগল।
অন্য বছরগুলোতে ঈদুল আজহায় চান্দিনায় চারটি স্থায়ী ও ২০টি অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাট বসত। এবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চারটি স্থায়ী ও নয়টি অস্থায়ী হাটের অনুমতি দিয়েছে চান্দিনা উপজেলা প্রশাসন। এতে হাটের সংখ্যা কমায় ভিড় বেড়ে যায়। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে পশুর হাটের ইজারাদারকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
গরু কিনতে আসা ময়নামতির আবদুল ওহাব, বরকইট গ্রামের আবদুল লতিফ ও চিলোড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান জানান, এমনিতেই বর্ষাকাল। তার ওপর গরুর খুঁটির কাছে উঁচু করে মাটি দেওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে এবং গরু পায়ে মুড়িয়ে ফেলায় কাদায় ভরপুর হয়ে গেছে। এতে বাজারের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে।
চান্দিনা পৌরসভার অন্তর্গত ছায়কট গরু বাজারের ইজারাদার আবু তাহের বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গরুর হাট পরিচালনা করছি।’