জয়পুরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ৪০ গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়েছে। দেয়াল চাপা পড়ে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল বেগের ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ির ওপর গাছ ভেঙ্গে পড়লে দেয়াল চাপায় একই পরিবারের মাসহ দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৮) তার দুই সন্তান নেওয়াজ (৮) ও নিয়ামুল (৩)।
এ ছাড়া কালাই উপজেলার হারুঞ্জা আকন্দপাড়া গ্রামে ঘর ভেঙ্গে পড়ে মৃত সালামত আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৭০) মারা যান।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষেতলালে মুরগী খামারের সেড ভেঙ্গে মারা গেছে প্রায় ৪০ হাজার মুরগী। প্রায় দুই হাজার বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। শত শত গাছ ও বিদ্যুতের শতাধিক খুঁটি উপড়ে গেছে।
ঝড়ের কারণে গত রাত সাড়ে দশটার পর থেকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার পর জেলায় প্রবল বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ে ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের দুই শিশু সন্তান সহ এক নারী এবং কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। এ ছাড়া সদর সহ কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামের দুই হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ-পালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে অজস্র। ক্ষেতলালের তিলাবদুল এলাকায় মুরগীর খামারের সেড ভেঙ্গে ৪০ হাজার মুরগী মারা গেছে।