এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা হবে না। তাই এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কথা ভাবছে সরকার।
আজ বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আজ দুপুর ১টার সংবাদ সম্মেলনে আসেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ‘এ বছরের ডিসেম্বরেই মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হবে। যারা বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রেখে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি থাকবেন। নভেম্বরের মধ্যেই তাঁরা পরামর্শ দেবেন।’
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সমন্বিত পদ্ধতিতেই আমরা সব ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারব। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ এখনো তিন মাস বাকি আছে। তিন মাস পর সেই মূল্যায়নের জন্য কী পরিস্থিতি হয় তার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
‘পরীক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সরাসরি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষা গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। যেহেতু এইচএসসি পরীক্ষা যারা দিচ্ছে, তারা দুটি পরীক্ষা দিয়ে এসেছে, এ কারণে তাদের মূল্যায়নের সুযোগ রয়েছে।’
তবে যারা আগের পরীক্ষার চেয়ে এবার ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বৈষম্য হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এমনো তো হয়, আগের পরীক্ষা ভালো করেছে, পরেরটায় তেমন আশানুরূপ ভালো ফল করতে পারে না। এ জন্য সব দিক বিবেচনায় নিয়ে এর চেয়ে ভালো উপায় দেখছি না।’
ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের দুই সচিব এবং দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা সংযুক্ত ছিলেন।
গত ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সারা দেশের প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থীর এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত ২২ মার্চ এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা নিয়ে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।