বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্ফানের অগ্রভাগ বর্তমানে খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে। যার প্রভাবে খুলনায় ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বইছে। আগামী আধা ঘণ্টায় এটি খুলনা উপকূল অতিক্রম করবে। তখন বাতাসের গতিবেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হবে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অগ্রভাগ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা, মোংলা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আঘাত হেনেছে। ওই এলাকায় বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ৬০–৭০ কিলোমিটার।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। বুধবার সারা রাত ধরে আম্ফান সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করবে।
এদিকে আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার (১৯ মে) গভীর রাত থেকে খুলনা অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ–নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০–১৫ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয় নদ-নদীতে ৫ থেকে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূল সংলগ্ন এলাকার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনার উপকূলীয় এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাননি তিনি।