রবিবার রাত ৯:৩২

৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শরৎকাল

কুয়েতের দেওয়া তথ্যে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার মানবপাচারকারী

৩০ বছর আগে কুয়েতে গিয়েছিলেন আমির হোসেন। (আসল নাম সিরাজ উদ্দিন।) গিয়েই শুরু করেন মানবপাচারের কাজ। সেই অভিযোগে কুয়েতের একটি আদালত তাঁর তিন বছর সাজাও দিয়েছেন। কিন্তু তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে করোনাকালের মধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

কুয়েতের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গত রোববার নরসিংদীর মাধবদী থানার আমদিয়া গ্রাম থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি আজ বুধবার রাতে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাজীব ফারহান।

সিআইডির কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আমির হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে দায়ের হওয়া একটি মানবপাচারের মামলা রয়েছে। তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কুয়েত সরকারকে জানানোর কাজ চলছে। পরে কুয়েত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে কী করা যাবে। বাংলাদেশেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। হয়তো আরো মামলা হবে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কুয়েতের আদালতে সাজা হওয়া বাকি দুই বাংলাদেশিকেও আমরা খুঁজছি। হয়তো তাঁরাও বাংলাদেশের কোথাও লুকিয়ে আছেন। সাজাপ্রাপ্ত কুয়েতের নাগরিক সে দেশের কারাগারেই আছেন। আমির হোসেনসহ তিন বাংলাদেশির তিন বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত। বাকি কুয়েতের এক নাগরিককে ছয় বছর সাজা দিয়েছেন আদালত।’

মো. রাজীব ফারহান বলেন, ‘আমির হোসেন কিন্তু তাঁর প্রকৃত নাম না। তাঁর নাম সিরাজ উদ্দীন। গলাকাটা পাসপোর্টে তিনি কুয়েতে গেছেন। ৩০ বছর ধরে তিনি সেখানে থাকেন। প্রায় এক হাজার মানুষকে তিনি কুয়েতে নিয়েছেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লাখ করে। যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাঁদের কোনো ভালো কাজ দিতে পারেননি। ফলে তাঁরা সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসেও অভিযোগ করেছেন। আমির দেড় বছর আগে একবার বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন। পরে আবার চলে যান। সর্বশেষ করোনাকালে পরিবারসহ একেবারে দেশে চলে আসেন।’

রাজীব ফারহান আরো বলেন, ‘ওই চক্রে মোট চারজনই ছিলেন। তাঁরা সেখানকার নানা কোম্পানির মাধ্যমে ভিসা জোগাড় করে বাংলাদেশ থেকে লোকজন নিয়ে যেতেন। পাচারের শিকার ব্যক্তিদের মোটা বেতনের লোভ দেখিয়ে কুয়েতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছিল পাচারকারীরা। প্রতারিত বাংলাদেশি নাগরিকরা কুয়েতে কোনো কাজের সন্ধান পায়নি। সেখানে থাকা-খাওয়ার মারাত্মক সংকটে পড়ে উদ্বাস্তু অবস্থায় কুয়েতের রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয় তাদের। কাউকে আবার তাঁরা বন্দিও করে রাখেন। এই অবস্থায় কুয়েতের আদালতে ওই চক্রটির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও দায়ের করে ভুক্তভোগীরা।’







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে