কাঁচা মরিচে রয়েছে অনেক গুণ। অনেকে কাঁচা মরিচ খেতে ভয় পান। তবে অনেককে রোজ পাতে দু-একটি কাঁচা মরিচ রাখতে দেখা যায়। কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
কাঁচা মরিচে থাকা যৌগ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় অনেকটা। ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর ডায়াটারি ফাইবার, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, আয়রন, ফলেট, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন এ, বি-৬, সি, কে, পটাশিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। কাঁচা মরিচে রয়েছে আরো অনেক গুণাগুণ, যা ছয়টি স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সুগার নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রয়েছে কাঁচা মরিচের। যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। মরিচের মধ্যে থাকা একটি উপাদান রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কাঁচা মরিচ ছেলেদের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে স্নায়ুর বিভিন্ন সমস্যা কমে।
ওজন কমাতে মোক্ষম কাজ দেয় কাঁচা মরিচ। এর মধ্যে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও জিরো ক্যালোরি। মরিচ খেলে পরিপাক প্রক্রিয়া ভালো চলে। দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ দ্রুত খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
কোনো দুর্ঘটনায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে মশলাদার কিছু খেলে ভালো কাজ দেয়। এর মধ্যে যদি মরিচ থাকে তাহলে আরো ভালো। কাঁচা মরিচের মধ্যে থাকে ভিটামিন কে। তাই এটি বেশ উপকারী।
ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে কাঁচা মরিচ। হুট করে ঠাণ্ডা লাগা ও সাইনাসের সমস্যা থেকে বাঁচায় কাঁচা মরিচে থাকা ক্যারাসাসিন। কাঁচা মরিচে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
হাড় শক্ত করতে মরিচের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মরিচে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ফলে এটি শুধু হাড় শক্তই করে না, দাঁতকেও মজবুত করে। অতএব, নিয়মিত কাঁচা মরিচ খান।