রোজা ২৯টি হলে রাত পোহালেই খুশির ঈদ। আর রোজা ৩০টি হলে একদিন পরই পালিত হবে ঈদ। খুশির ঈদ দুয়ারে কড়া নাড়ায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে মার্কেটে ছুটছেন রাজধানীর বাসিন্দারা।
এখন ক্রেতাদের একটি অংশ মার্কেটে ভিড় করায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও মার্কেটে ছুটে যাওয়া মানুষগুলো সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি খুব একটা মানছেন না। কেউ কেউ ছোট শিশুদের নিয়ে ভিড় ঠেলে মার্কেটে ঢুকছেন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তালতলা সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের প্রবেশ গেটে জীবাণুনাশক ট্যানেল বসানো হয়েছে। কেউ কেউ এই ট্যানেলের ভেতর দিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করছেন। অনেকেই ট্যানেলের ভেতর না ঢুকে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে ট্যানেলের পাশ দিয়ে মার্কেটের চত্বরে ঢুকে পড়ছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মার্কেটটিতে মানুষ ছুটে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আশপাশের বাসিন্দারা।
তারা বলছেন, মানুষের মধ্যে কোনো ধরনের সচেতনতা নেই। প্রতিদিন মার্কেট করতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিড় কম থাকলেও বিকেলের দিকে এক প্রকার ঢল নামে। এতে যারা মার্কেট করতে আসছেন তারা যেমন নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, তেমনি আশপাশের বাসিন্দাদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন।
ছোট শিশু নিয়ে মার্কেটে আসা রাহেলা বলেন, নতুন পোশাকের জন্য বাবু কান্নাকাটি করছিল। তাই ওকে নিয়ে এসেছি। সকালে ভিড় কম থাকে, তাই সকালে এসেছি। ভিড় বাড়ার আগেই কেনাকাটা শেষ করে ফিরে যাব।
বাসাবো থেকে ঈদের পোশাক কিনতে আসা মারিয়া বলেন, ‘আমি মার্কেট করতে এই মার্কেটে খুব একটা আসি না। নিউমার্কেটে বেশি যাই। কিন্তু এবার নিউমার্কেট বন্ধ। তাই এখানে এসেছি। অনেক বাছাবাছি করে দুটি ড্রেস কিনেছি। তবে খুব একটা মনে ধরেনি। তারপরও এই দিয়েই এবারের ঈদ চলে যাবে।’
করোনাভাইরাসের ভয় লাগে না? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ঈদ তো চলেই এসেছে। কাল না হয় পরশু ঈদ। নতুন পোশাক ছাড়া ঈদের আনন্দ থাকে না। তাই এসেছি। করোনার ভয়ে ঘরে বন্দি হয়ে থাকলে তো জীবন চলবে না। এসব করোনার ভয় আমার লাগে না। যার করোনা হওয়ার তার এমনিই হবে। তাছাড়া কার মৃত্যু কখন হবে তা আল্লাহ্ আগেই লিখে রেখেছেন। মৃত্যুর সময় হলে সিন্দুকে ঢুকে থাকলেও কেউ রক্ষা করতে পারবে না।