সমাজ নিউজ ডেস্ক : অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার ব্যক্তিগত বিভিন্ন নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৯ জুন) অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিনের সই করা পাঠানো চিঠিতে পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিনের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, টিআইএন নম্বর, আয়কর রিটার্নসহ ব্যক্তিগত সব নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জুন) দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচায্য এ বিষয়ে রাইজিংবিডিকে বলেন, বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা চিঠি দিয়েছে বলে জেনেছি। তবে বিস্তারিত পরে আপানাদের জানাতে পারবো।
দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে জানা যায়, দুদক থেকে পাঠানো চিঠি গুলশানে সেলিনা ইসলামের আবাসিক ঠিকানা ও লক্ষ্মীপুরের স্থায়ী ঠিকানা বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে চাহিদাকরা নথিপত্র পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের বক্তব্য নেওয়া হতে পারে।
কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও মানবপাচারসহ অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। গত ৬ জুন (শনিবার) রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে দেশটিতে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর এমপি পাপুলকে আদালতে হাজির করলে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কুয়েতের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মানব ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, এমন কয়েকশ ব্যক্তির তালিকা করেছে কুয়েত সরকার। সেই তালিকা ধরেই সম্প্রতি বিতর্কিত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ। সেই অভিযানেই গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশের এমপি পাপুল।
অভিযোগ রয়েছে, পাপুল ব্যবসার আড়ালে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালে দেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা হুন্ডি ও বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পাচার করেন। বাকি টাকা তার এক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করেন।