প্রয়োজন পড়লে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন কর্মসূচির প্রস্তাব দেবে বলেও তিনি জানান।
বিবিসির খবরে জানা যায়, উত্তর কোরিয়ায় সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে মারাত্মক সামরিক স্খলন হিসেবে চিহ্নিত করেন নিকি হ্যালি। দেশটিতে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করারও হুমকি দেন তিনি। বলেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন করেছে।
হেলি আরও বলেন, গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে এবং মিত্রদের রক্ষা করতে সব ক্ষমতা ব্যবহার করতে প্রস্তুত।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাবিষয়ক জরুরি এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
নিকি হ্যালি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধব্যবস্থার অন্যতম হলো প্রয়োজনমতো সেনাবাহিনী ব্যবহার। যদি আর কোনো উপায় না থাকে, তাহলে আমরা সেনাবাহিনী ব্যবহার করব। তবে আমরা সেদিকে যেতে চাই না।’
নিরাপত্তা পরিষদকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জানান, তাঁরা উত্তর কোরিয়ায় নিষেধাজ্ঞা কঠোর করতে নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়াও। তবে রাশিয়া বলেছে, সেনাবাহিনী ব্যবহারের চিন্তা বাদ দেওয়া উচিত।
চীনা প্রতিনিধি বলেন, বেইজিং উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য মনে করে। ওই প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী ব্যবস্থা মোতায়েনের পরিকল্পনা আবার পরিমার্জন করার জন্য আহ্বান জানান। উত্তর কোরিয়ার কাছে চীন ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধেরও আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্যদেশ রাশিয়া ও চীন। যেকোনো নতুন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তারা ভেটো দিতে পারে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য নিয়ে সমালোচনা করেন। এ ব্যাপারে হ্যালি বলেন, তিনি এই ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চলমান—এমন দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি আলাস্কায় আঘাত করতে সক্ষম। জি-২০ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ওই আলোচনায় রাশিয়াও যোগ দেবে।