বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের ভবন থেকে ১৮৪ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবারে (১৬ এপ্রিল) উদ্ধারকৃত চাল বাবুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে বুধবার গভীর রাতে এএসপি মুকুর চাকমা নেতৃত্বে এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৮ এর একটি বিশেষ দল। পরে এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
এই মামলার আসামিরা হলেন—কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম (৪৫), তার দুই ভাই শাহে আলম (৩৮), শামছুল আলম (৩০) ও চালের ডিলার সেন্টু খাঁ। তবে ঘটনার পর থেকেই সবাই পলাতক রয়েছে।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুই মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এ সময় জেলেদের সহযোগিতার জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কেদারপুর ইউনিয়নে ৪৫০ জন তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগী জেলে রয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল কম দেয়ার অভিযোগ ছিল র্যাবের কাছে। এর প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে অভিযান চালায় র্যাব-৮ এর একটি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের প্রমাণও পায় তারা।
এঘটনায় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন (৩২) ও রোকনুজ্জামানকে (৩৮) আটকের পর তাদের এক মাস করে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর রাতে কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ভবন থেকে ১৮৪ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেছে র্যাব।