নরসিংদী জেলার দস্তরদী এলাকার ইট বালু ব্যবসায়ীর মেয়েকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই প্রেমিক ও বন্ধুদের বিরুদ্ধে। সে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী ছিলো। তার অভিযোগ, অপহরণের পর দুইদিন তাকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর গণধর্ষণ করে। আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ থানায় দায়ের করেছে।
ওই স্কুল ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী জেলার দস্তরদী এলাকার ইট বালু ব্যবসায়ীর মেয়ে (১৩) এক বছর যাবত ধরে আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ষাড়পাড়া এলাকায় তার নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছে। ১১জুলাই দুপুরে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বিউটি পার্লারে বান্ধবীর সাথে সাজতে যায়। ২টার দিকে সেখান থেকে সে একা নানার বাড়ি ফেরার পথে সড়কে একটি প্রাইভেটকার যোগে প্রেমিক উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার সুজন সহ ৪-৫ জন যুবক তাকে মাইক্রোবাস যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় একটি ঘরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জলন্ত সিগারেটের আগুন দিয়ে পা সহ বেশ কয়েক স্থানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দুই দিন অভুক্ত রেখে সুজন সহ ২জন মিলে গণধর্ষণ করে। বুধবার রাতে সাড়ে ১১টার দিকে অপহরণকারীরা শিশুটিকে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ব্রীজের নিকট ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্কুল ছাত্রী রাতে বাড়িতে ফিরে গিয়ে বাড়ির লোকজনদের ঘটনাটি জানালে বৃহস্পতিবার সকালে মা ও নানা থানায় এসে অভিযোগ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) মজিবুর রহমান জানান, ওই স্কুল ছাত্রী একেক সময়ে একেক ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। এটা বিভ্রান্ত করছে তদন্তে।
আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, বক্তব্য যাচাই বাছাই করে করে মামলা নেওয়া হবে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।