শুক্রবার রাত ২:২৩

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বসন্তকাল

ঘর থেকে টিকটিকি তাড়ানোর সহজ উপায়

মনে মনে কিছু ভাবলেন বা বললেন, অমনি দেয়ালের উপর থেকে কেউ ডেকে উঠলো টিক টিক টিক। যে ডেকে উঠলো সে কিন্তু কোনো মানুষ নয়, একটি নিরীহ টিকটিকি। কেউ কেউ অবশ্য এমন কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন যে টিকটিকি ডেকে উঠলে সেই ভাবনা নাকি সত্যি হয়। তবে টিকটিকি আমাদের কিছু উপকার যে করে না তা কিন্তু নয়। বিভিন্নরকম পোকামাকড় খেয়ে আমাদের ঘরদোর কিছুটা হলেও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তবে একটি সমস্যাও আছে, টিকটিকি নিজেই ঘর নোংরা করে আর এর মল বিষাক্ত! এই উপদ্রবকে চিরদিনের জন্য বাসা থেকে দূরে রাখার কিছু উপায় আছে। চলুন জেনে নিই ঘর থেকে টিকটিকি দূর করার সহজ ও চমৎকার কৌশল।

রসুন

রসুনের গন্ধ টিকটিকি পছন্দ করে না। রসুনের কোয়া জানলার এক কোণে। বিশেষ করে ভেণ্টিলেটরের ভিতরে রাখুন। দেখবেন টিকটিকি আপনার বাসা থেকে দূরে রয়েছে। আপনি চাইলে রসুন পানিও ছিটিয়ে দিতে পারেন টিকটিকির ওপর।

বরফ পানি

টিকটিকি শীতল রক্তের প্রাণী। টিকটিকি দেখলেই বরফপানি স্প্রে করে দিন। দেখবেন টিকটিকি ঠাণ্ডায় জমে গেছে। এরপর এটি তুলে বাইরে ফেলে দিন।

নেপথালিন

আমাদের প্রায় সবার বাসায় নেপথালিন থাকে। ঘরের যেখানে টিকটিক থাকে সেখানে নেপথালিন বল রেখে দিন। এটি আপনার ঘরকে টিকটিক থেকে দূরে রাখবে। শুধু টিকটিক নয়, আরও নানা পোকা থেকে এটি রক্ষা করবে।

ময়ূরের পালক

ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয় ময়ূরের পালক। এই পালকও টিকটিকির অপছন্দ। ঘরের ফুলদানিতে কয়েকটি ময়ূরের পালক রেখে দিন। কিংবা ঘরের দেয়ালে কয়েকটি পালক লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন আপনার ঘরে আর টিকটিকি আসবে না।

পেঁয়াজ

টিকটিকি লুকানো জায়গাগুলোতে পেঁয়াজের টুকরা রেখে দিন। পেঁয়াজের গন্ধ টিকটিকি একদম সহ্য করতে পারে না। ফলে টিকটিকি সেই জায়গা থেকে দূরে থাকবে।

ডিমের খোসা

ডিমের খোসা টিকটিকিকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। ডিমের খোসা রেখে দিন টিকটিক আসার জায়গায়গুলোতে। দেখবেন বাসায় টিকটিকি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। ৩-৪ সপ্তাহ পর পর সেটি পরিবর্তন করে ফেলুন।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে